নববর্ষ (Bengali New Year) মানে বাঙালি খাওয়া দাওয়া, শাড়ি-পাঞ্জাবিতে বাঙালি সাজ, বাংলা গান, উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠা। করোনার প্রকোপে বাড়িতে নানা পদে সাজিয়ে খাওয়া দাওয়া বা নতুন জামা কাপড় কিনে পরা হলেও, বহু মানুষের বহু কিছুতে বদল এসেছে। বদল এসেছে তারকাদের জীবনধারনেও। রেস্তোরাঁয় খাওয়া হোক বা জামাকাপড় কেনা, নতুন প্রজন্মের তারকারা কী বলছেন? তাঁরা কি এবারেও রেস্তোরাঁয় যাবেন পেটপুজো সারতে, নাকি মায়ের হাতের রান্না দিয়েই সারবেন নববর্ষের ভুরিভোজ? কতগুলো নতুন জামা হয়েছে? কালকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা নাকি বাবা-মায়ের সঙ্গেই দিনভর সময় কাটাবেন নাকি ব্যস্ত থাকবেন শুটিংয়ে? ছোট্ট আড্ডায় জানালেন news18bangla.com -কে...
advertisement
'রানী রাসমনি' যখন শুরু হয় তখন দিতিপ্রিয়া ছোট। ধারাবাহিকে সেই রানীমার চুলে পাক ধরেছে। দিতিপ্রিয়াও স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে এখন কলেজ পড়ুয়া। আগামিকাল অর্থাৎ নববর্ষের দিন কী করবে দিতিপ্রিয়া? শুটিং ফ্লোরে তখন বেজায় ব্যস্ত দিতিপ্রিয়া। শটের ফাঁকেই ফোনে জানালেন, "করোনার জন্য বাইরে কোথাও যাব না। কোনও প্ল্যান নেই। মা যা রান্না করবে সেটাই খাবো। তারপর সারারাত শুটিং আছে। বিকেলেই বেরিয়ে যাব। তাই দিনের বেলায় একটু রেস্টও নিতে হবে, না হলে শুটিংয়ে এনার্জি থাকবে না।" তবে করোনার জন্য বাইরে খুব একটা বেরোচ্ছে না, তাই এ বারে নতুন জামাকাপড় কেনা হয়নি দিতিপ্রিয়ার।
অন্যদিকে, টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন অবশ্য বাইরে কথাও খেতে না গেলেও দুপুরে মায়ের হাতের নানা পদে পেটপুজো সারার প্ল্যানে রয়েছে। বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও আড্ডাও হবে। যদিও কথায় সেই আড্ডা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। সন্দীপ্তার বাড়িতে দুপুরের মেনুতে থাকবে অবশ্যই কোনও না কোনও মাছ, সেটা চিংড়ি হতে পারে, সঙ্গে অবশ্যই পাঁঠার মাংস। এছাড়াও থাকবে সন্দীপ্তার পছন্দের ডাল, ঝুরি আলুভাজা, পোস্ত।
সন্দীপ্তা বলেন, "পয়লা বৈশাখ এলে দিদুমনাকে (দিদা) সবথেকে মিস করি। মা সব রান্নাই ভাল করেন, কিন্তু দিদুমনার মতো সেটা কিছুতেই হয় না। আগে পয়লা বৈশাখ মানেই ছিল বেহালায় দিদার বাড়ি যাওয়া। এখন কেউ নেই সেখানে, তাই সেই দিনগুল মিস করি। এখন অনেক জামা হয় নববর্ষে। এবারেও হয়েছে। নিজে জামাকাপড় তো কিনিই। অনেক উপহার পাই, বাবা-মা দেন, কিন্তু দিদুমনা তখন এক্টাই জামা দিতেন। কোন জামা পাব, কি সেই রং, সেই জামা কখন পরব, সব কিছুর জন্য যে অপেক্ষাটা ছিল, সেটা মিস করি।"