একইসঙ্গে, অভিনেত্রী এটাও মনে করেন করোনা সংক্রমণ যাতে কম হয় সেই বিষয়টি সম্পূর্ণ মানুষের হাতে রয়েছে। “লকডাউন কেবল পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে যদি মানুষ তা মেনে নেয়। সঙ্গে থাকতে হবে সচেতনতা”। তিনি আরও বলেন “মানুষকে এই সময়ে বাড়িতে থাকতে হবে, যাতে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারা যায়। কিন্তু, মানুষ যদি কথা না শোনে আর বাইরে বের হয়, তাহলে এটা কাজে দেবে না। আমাদের সকলকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে এই মুহূর্তে।”
advertisement
“অর্থনৈতিক ভাবে অবশ্যই মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং জীবিকার ক্ষতিও হচ্ছে। কিন্তু, এখানে প্রত্যেকের নিজের স্বাস্থ্যের বিষয় রয়েছে, তাই জন্য আমাদের এটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমি চাই মানুষ ভালো করে গাইডলাইন শুনে তা মেনে চলুক... এতে সকলের সুবিধা হবে।” রাইমা, সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে পারছেন মানুষ কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিনযাপন করছেন এবং প্রিয়জনকে বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন, কারণ গত বছর বাবাকে নিয়ে তাঁকেও খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। তিনি বলেন “আমার বাবা ডিসেম্বর মাসে এক মাস ধরে আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। তাঁর গুরুতর রোগ ছিল। দুই মাস ধরে খুবই খারাপ সময় গিয়েছে। আমাকে মুম্বই গিয়ে শ্যুটিং করতে হয়েছিল, সেখানে শ্যুটিং সেরেই আমি কলকাতায় ফিরে আসতাম বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য।"
অভিনেত্রী সমস্ত তারকা এবং সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন যাঁরা এই সময়ে মানুষকে সাহায্য করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন। তিনি আরও বলেন “বেশ কিছু অভিনেতাদের মধ্যে যেমন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chattopadhyay) তাঁর সাধ্য মতো মানুষের সাহায্য করছেন। বহু মানুষ হাসপাতালের বেড, অক্সিজেন এবং ভ্যাকসিনের জন্য সাহায্য চাইছেন... সকলে যতটা পারছেন সাহায্যের চেষ্টা করে চলেছেন।”