'ভাগাড়'-এর প্রথম ক্যারেক্টার পোস্টারে দেখা মিলল মুখ্য চরিত্রের দুই স্তরের। একদিকে সে ভীরু, গোবেচারা মানুষ। আবার অন্যদিকে এক তীক্ষ্ণ দৃষ্টির, ক্ষুব্ধ, বিরক্ত মানুষ। প্রকাশ্যে এসেছে সেই পোস্টার।
২০১৮-এর ভাগাড় কাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল সারা বাংলা। সেই ভাগাড় কাণ্ডের শিকার হয়েছিল নোনাডাঙার পরেশও। বিরিয়ানিতে থাকা পচা বিড়ালের মাংস কেড়ে নিয়েছিল তাঁর একমাত্র সন্তানের জীবন। তারপর থেকেই ভীতু, শিরদাঁড়াহীন, গোবেচারা নিম্নবিত্ত মানুষটাকে আর সহ্য করতে পারে না তাঁর স্ত্রী পুষ্প। ভিতরে ক্ষতবিক্ষত পরেশ তাই একদিন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কিন্তু সে যে বড় ভীতু, ফলে মরার যাবতীয় চেষ্টা একের পর এক ব্যর্থ হতে থাকে। আর ঠিক তখনই খবরের কাগজের একটা নিউজ তার নজরে পড়ে। এক ব্যক্তি সুপারি কিলার লাগিয়ে ৫০০০০ টাকার বিনিময়ে বেছে নিয়েছে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু। এই তো মরার সোজা রাস্তা। শুরু হয় সুপারি কিলারের খোঁজ।
advertisement
আরও পড়ুন: ভাইরা আমার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুমোন! অর্জুন কাপুরকে প্রকাশ্যে ট্রোল সোনমের
অন্যদিকে ইউটিউবার অনির্বাণ নিজস্ব চ্যানেলের জন্য ভিডিও বানাতে গিয়ে একটি জাল বেবিফুড ফ্যাক্টরির হদিস পায়। মালিক ইকবাল শাহেরিয়া। তাঁর ছবি দেখে চমকে ওঠে অনির্বাণ। এতো ইদ্রিস আলী। নোনাডাঙ্গা ভাগাড় কাণ্ডে পচা মাংসের জালিয়াতি ব্যবসায় অ্যারেস্ট হওয়া কুখ্যাত সমাজবিরোধী। আজ যেমন সে সুপারি কিলার, তেমনই গোপনে চলে তাঁর জাল বেবিফুডের ব্যবসা। তাঁর কাছেই সুপারি দিতে আসে নোনাডাঙার পরেশ। মৃত্যুর রফা হয় ৫০ হাজার টাকায়। মরার আগে শেষ খাওয়া খেয়ে নিতে পরেশ ঢোকে ফুটপাতের হোটেলে। সেখানেই পরেশকে লক্ষ করে গুলি চালায় ইকবালের গুন্ডারা। কিন্তু দুর্ভাগ্য। গুলি লাগে অন্য এক ব্যক্তির গায়ে। মৃত্যু যন্ত্রণা যে কত ভয়ঙ্কর তা আজ হারে হারে টের পায় পরেশ। চোখের সামনে মৃত্য়ু দেখে সে।
আরও পড়ুন: ইতালিতে ফুরফুরে মেজাজে রণবীর-আলিয়া! ছবি দেখে স্মৃতির সমুদ্রে ডুব দিলেন সোনম কাপুর
না, আর মৃত্যু নয়। এ বার বাঁচতে চায় পরেশ। কি হবে এবার? তাঁর পিছনে পড়ে গিয়েছে সুপারি কিলারের দল। জানতে হলে দেখতে হবে, ওয়েব সিরিজ 'ভাগাড়'। 'ক্লিক ওটিটি' মঞ্চে চলতি মাসের শেষে আসতে চলেছে সিরিজটি।