সেদিনের তরুণী দেবশ্রীর কাছে তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar Demise) শুধু পরিচালক নন, ছিলেন তাঁর বাবার মতোই। তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে তাই দিশেহারা মেয়ে দেবশ্রী রায়। বললেন, “আজ আমার বাবা চলে গেল এইটুকুই বলতে পারি এইমুহূর্তে। আমার নাম ওঁরই দেওয়া। উনি শিল্পী দেবশ্রী রায়কে গড়েছেন।" এ শোক যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ‘তরুণদার চুমকি’।
advertisement
আরও পড়ুন : সকাল থেকে খাননি কিছুই, তরুণ মজুমদারকে হারিয়ে ঘুমও ভুলেছেন সন্ধ্যা রায়
শোকবিহ্বল দেবশ্রীর (Tarun Majumdar Demise) মন্তব্য, “তরুণদা নেই। বাবা চলে গেলে যে যন্ত্রনা হয় তেমন যন্ত্রনা হচ্ছে! তরুণদা-সন্ধ্যাদি আমার মা-বাবার মতো ছিলেন। উনি নিজের সন্তান বলে আমাকে মনে করতেন। বলতেন, "আমার তো সন্তান নেই। আমার তিন মেয়ে, মৌসুমী, মহুয়া, দেবশ্রী। সারাটা জীবন ঠিক বাবার মতোই ভালবেসে গিয়েছেন আমাকে। শিল্পী গড়তেন উনি।"
আবেগে ভাসেন দেবশ্রী রায়, "তখন আমি কত ছোট, সেই কুহেলিতে প্রথম ওঁর হাতে কাজ করেছি। ইন্ডাস্ট্রির অক্ষরজ্ঞান আমার তরুণদার হাত ধরেই। আর সেই মানুষটাই আমাকে আজ একা করে দিয়ে চলে গেলেন। মেয়েকে একা করে দিলেন। আজ মেয়ে হিসেবে নিজের কর্তব্য করব। সন্ধ্যাদির পাশে থাকব।”
উল্লেখ্য, দেবশ্রীর ফিল্মি কেরিয়ারের একেবারে গোড়ার দিকে তরুণ মজুমদারের হাতেই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। সন্ধ্যা-তরুণের কাছে প্রশিক্ষণ নিতেন তিনি। ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘দাদার কীর্তি’ থেকে শুরু করে তাঁর ফ্রেমে বাঙালি দর্শকরা আবিষ্কার করেছিলেন পরবর্তীকালে বাংলা ছবি দাপিয়ে অভিনয় করা দেবশ্রী রায়কে। এমনকী, ‘দেবশ্রী’ নামটাও তরুণ মজুমদারের-ই দেওয়া। তাই পরিচালকের প্রয়াণে বাবা হারা হলেন দেবশ্রী রায়।