সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেন যে, ২০১৮ সালে যখন তাঁদের ‘কেদারনাথ’ ছবির শ্যুটিং চলছিল, সেই সময় সুশান্তকে বেশ অসংলগ্ন মনে হচ্ছিল। সিদ্ধার্থ কান্নানের সঙ্গে আলাপচারিতায় চিত্র পরিচালক বলেন, “আমার মনে আছে, যখন সুশান্ত আমাদের কাছে অডিশন দিয়েছিলেন, তখন অতিরিক্ত ওজন ছিল তাঁর। আমি সেই সময় তাঁকে একটা শর্ত দিয়েছিলাম। একজন আমেরিকান অভিনেতার ছবি দেখিয়ে বলেছিলাম যে, আপনাকে এমন দেখতে লাগতে হবে। কারণ আপনি একজন ক্রিকেটার। তিনি ওই সময় বেশি কিছুই বলেননি। আসলে উনি বেশি কথার মানুষ নন। আর তিন মাসের মধ্যে কঠোর পরিশ্রম করেন। এমনকী ক্রিকেট অনুশীলন এবং জিম প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিদিন ভোর ৬টায় প্রস্তুত হয়ে যেতেন। আর এর শেষে তাঁকে এমনটা দেখতে লাগছিল।”
advertisement
আরও পড়ুন: কথায় কথায় তো ওকে বলেন, Ok-র ফুল ফর্ম জানেন? ৯৯.৯% জানে না!
সুশান্ত কীভাবে ঠান্ডায় জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে শ্যুটিং করতেন, সেই বিষয়টারও স্মৃতিচারণ করেন ওই চিত্র পরিচালক। আর এই বিষয়টা অভিনেত্রী সারা আলি খানকেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। অভিষেকের কথায়, “সুশান্ত পথ দেখিয়েছিলেন। পরের দিন সারা তাঁকে এমনটা করতে দেখেন। আর অনুভব করেন যে, যদি সেই মানুষটা এটা করতে পারেন, তাহলে তিনিও সেটা করতে পারবেন। আর এই বিষয়টাই সারাকে চালিত করেছে।”
আরও পড়ুন: একটু সিঁড়ি চড়লেই হাঁপ ধরে? আপনি ‘এই’ মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন!
‘কেদারনাথ’ পরিচালকের আরও দাবি, ওই ছবির শ্যুটিংয়ের সময় বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন সুশান্ত। মনে হচ্ছিল যেন তিনি একাকী এবং অসহায় বোধ করছেন। অভিষেকের বক্তব্য, “ওই সময়টা তাঁকে বেশ ডিস্টার্বড থাকতে দেখেছি। এমনিতে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে তিনি বেশ শক্তিশালী। যে কোনও জিনিসই পারতেন তিনি। দারুণ একজন মানুষ তিনি। আমার মনে হয়েছিল তিনি বিচ্ছিন্ন এবং বেশ অসহায় বোধ করছিলেন। যেন দূরে কোথাও ভেসে যাচ্ছিলেন তিনি।”
২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল রোম্যান্টিক-ড্রামা ‘কেদারনাথ’। মূলত ২০১৩ সালে উত্তর ভারতের বিধ্বংসী বন্যার পটভূমিতেই তৈরি হয়েছিল ছবিটি। যেখানে সুশান্ত সিং রাজপুত এক মুসলিম যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর অভিনীত চরিত্রটির নাম ছিল মনসুর খান। যিনি এক হিন্দু পুরোহিতের কন্যার প্রেমে পড়েন। এই চরিত্রটি করেছিলেন সারা আলি খান। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে নিজের মুম্বইয়ের অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুশান্তকে।