‘রে’ আসলে অন্ধকারের উপরই আলোকপাত ৷ মানুষের মনের অহং, প্রতিশোধ, হিংসা এবং প্রবঞ্চনার অলিগলিতে ঘুরে ফিরেছে এই মনস্তাত্ত্বিক সিরিজ ৷ সত্যজিতের কিশোরসাহিত্য যে কার্যত ‘নারীবর্জিত’, সেই তকমা এখানে খুঁজে পাওয়া যাবে না ৷ ‘ক্লাসিক’-এর আধুনিক পুনর্নির্মাণে সেখানে এসেছে নারীচরিত্র ৷ ‘বিপিন চৌধুরীর স্মৃতিভ্রম’ এখানে ‘ফরগেট মি নট’৷ ‘বারীন ভৌমিকের ব্যারাম’ হয়ে গিয়েছে ‘হঙ্গামা হ্যায় কিঁউ বাপরা’৷ ‘বহুরূপী’ থেকে ‘বহুরূপিয়া’৷ সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত ‘স্পটলাইট’ নামকরণ ৷
advertisement
চার ছোটগল্পের প্রধান মুখ হলেন মনোজ বাজপেয়ী, আলি ফজল, কে কে মেনন এবং হর্ষবর্ধন কপূর ৷ চার চরিত্রের যাত্রাপথে ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয় জীবনের বিভিন্ন শেড ৷ ট্রেলর দেখে নেটিজেনদের ধারণা, দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করে আছে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ৷
চারটি গল্প পরিচালনা করেছেন অভিষেক চৌবে, সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং ভাসান বালা ৷ বাকি কুশীলবরা হলেন গজরাজ রাও, শ্বেতা বসু প্রসাদ, অনিন্দিতা বসু, বিদিতা বাগ, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, রাধিকা মদন, চন্দন রায় স্যান্যাল এবং আকাঙ্ক্ষা রঞ্জন কপূর ৷
চারটি গল্পের মধ্যে দুটি পরিচালনা করেছেন সৃজিত ৷ তাঁর পরিচালনায় ‘ফরগেট মি নট’ গল্পে আলি ফজল এবং ‘বহুরূপিয়া’-তে কাজ করেছেন কে কে মেনন ৷ ‘ফেলুদা ফেরত’-এর পর পরিচালক আবার কাজ করলেন সত্যজিতের সৃষ্টি নিয়ে ৷ তবে ‘রে’ সিরিজে চিরাচরিত চেহারার বদলে নতুন ছাঁচে ফেলা হয়েছে গল্পগুলিকে ৷ ‘রে’-এর ট্রেলর শেয়ারও করেছেন তিনি৷ ‘ফেলুদা ফেরত’-এর মতো আদি অকৃত্রিম ফ্লেভারের প্রতি আনুগত্য এখানে অদৃশ্য ৷
ভাসান বালা পরিচালনা করেছেন ‘স্পটলাইট’ গল্পটি ৷ ‘হঙ্গামা হ্যায় কিঁউ বাপরা’ গল্পে মনোজ বাজপেয়ী এবং গজরাজ রাওকে নিয়ে কাজ করেছেন অভিষেক চৌবে ৷
সত্যজিতের প্রায় সব গল্পের মতোই এই চার ছোটগল্পের শেষেও অপেক্ষা করে আছে চমক ৷ আধুনিকতার মোড়কে সেই চমক অক্ষুণ্ণ থাকে, নাকি আরও সুস্বাদু হয়, সেই অভিজ্ঞতার অপেক্ষাতেই সত্যজিৎপ্রেমীরা ৷
মানুষ ঈশ্বর হতে চায় ৷ কারণ, ঈশ্বরের মতো সে-ও তো স্রষ্টা ৷ কিন্তু পারে কি? উত্তর দিতে আসছে ‘রে’৷ ২৫ জুন, নেটফ্লিক্সে ৷