চলতি বছর ক্যানসারকে হারিয়ে তিনি ফের কাজে ফিরেছিলেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সঞ্চালনায় 'দাদাগিরি'-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই শ্রীজাতর লেখা, অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া এই গানে নাচ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শরীরের ডানদিক অসাড়, ভেন্টিলেশনেই অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা
'দেখো আলোয় আলো আকাশ, দেখো আকাশ তারায় ভরা, দেখো যাওয়ার পথের পাশে, ছোটে হাওয়া পাগলপারা, এত আনন্দ আয়োজন, সবই বৃথা আমায় ছাড়া...' গানে তাঁর নাচ দেখে সকলেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। নাচের পরে সৌরভ তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়ে গানের কথা ধার করে ঐন্দ্রিলাকে বলেন, 'এত আনন্দ আয়োজন, সবই বৃথা তোমায় ছাড়া'। দাদার এই কথায় বাকি অতিথিদের সকলের চোখেই জল চলে আসে।
advertisement
আরও পড়ুন: জীবন বার বার দাঁড় করিয়েছে মৃত্যুর মুখোমুখি, সংগ্রামের প্রথম দিন থেকেই ঐন্দ্রিলা মৃত্যুঞ্জয়ী
এই মুহূর্তেও লড়াই করে চলেছেন ২৩-২৪ বছরের অভিনেত্রী। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর মঙ্গলবার রাত থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। ভেন্টিলেশনে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি।
তবে তাঁর শরীরের অন্যান্য ভাইটালস স্বাভাবিক রয়েছে৷ মঙ্গলবার রাতে ভর্তি করানোর পর তাঁকে দুরুহ জটিল ক্রেনিওটমি অস্ত্রোপচার করা হয়৷ এই অস্ত্রোপচারে স্কালের থেকে একটি হাড় এর অংশবিশেষ বার করা হয় মস্তিষ্ক ওপেন করে দেখার জন্য৷
সেবার নিজের লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন সৌরভকে। দাদা তাঁর লড়াই করার মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরীর প্রতিও তাঁর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিলেন সকলের প্রিয় দাদা। দাদার সঙ্গে 'জেহনসীব' গানে বল ডান্স করে মনের ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন 'জিয়ন কাঠি'র নায়িকা। বাকি সকলের মতো সৌরভও যে তাঁর সম্পূর্ণ আরোগ্যের জন্য মুখিয়ে ছিলেন তা বোঝা যায় তাঁরই একটি কথায়। ঐন্দ্রিলাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, ''এখানে যারা আছে, সবার আয়ু যেন তোমার লাগে।'' দাদার মুখে এমন কথা শুনে কান্না এসে গিয়েছিল নায়িকার।
আজ বাংলাজুড়ে সকলের প্রার্থনা, ঐন্দ্রিলা যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন তাড়াতাড়ি। তার সুস্থতার খবর শোনার জন্য আকুল হয়ে রয়েছেন প্রত্যেকটি মানুষ।