কিছুদিন আগেই সঙ্গীত জগতের অনেক গুনী মানুষের উপস্থিতিতে সেই অ্যালবাম প্রকাশ করেন মেখ্লা৷ গান প্রকাশে ছিল বেশ অভিনবত্ব৷ ডিজিটাল যুগে ক্যাসেটের অস্তিত্ব সাধারণ মানুষের কাছে এখন সেভাবে নেই৷ কিন্তু মেখ্লার গান রিলিজে দেখা মিলল সেই ক্যাসেটের৷ যদিও সেটা ছিল একেবারেই প্রতীকী৷ মেখ্লার কথায়, আমরা সকলে ক্যাসেট বাজিয়ে গান শুনে বড় হয়েছি৷ তাই যখন আমার নৈবেদ্য রিলিজ হচ্ছে, তখন ভাবলাম সেখানেও ক্যাসেটের একটা ভূমিকা থাকবে৷ মন কেমনের জন্মদিন গানটি তৈরি সময়ই অন্যান্য গানগুলি তৈরি হয়৷ তবে মন কেমনের জন্মদিন গানটি হৃৎপিণ্ড ছবিতে ব্যবহার হয়েছে৷ লকডাউনের জন্য ছবি এখনও মুক্তি না পেলেও, গানটি অত্যন্ত হিট৷ এই গানের জনপ্রিয়তাই মেখ্লাকে সাহস জুগিয়েছে অন্য পাঁচটি গান কোনও ভিডিও ছাড়াই রিলিজ করার৷ যেমন ভাবনা, তেমন কাজ৷ আপাতত নিজের নৈবেদ্য নিয়ে তৈরি শিল্পী৷
advertisement
ঈশ্বরে বিশ্বাসী৷ প্রতিটি মানুষের মধ্যে ঈশ্বর রয়েছে, মানেন শিল্পী৷ তাই তো এই গানগুলি নৈবেদ্য হিসেবে সকলের সামনে সাজিয়ে দিলেন তিনি৷ কয়েকদিনের মধ্যেই প্রথম গানটি মনে ধরেছে শ্রোতাদের৷ এখানে শুধু গান নয়, নৈবেদ্যর থিম এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে অন্য শিল্পীদের সম্পর্কে মেখ্লার ভাবনা এবং লেখা প্রকাশ পেয়েছে মেখ্লারই স্কেচের মাধ্যমে৷ যা এক কথায় নজিরবিহীন৷
নৈবেদ্য অ্যালবামে থাকছে ৫টি গান, তুই আসবি কবে বল, উতলা হাওয়া, স্বপ্ন পেরিয়ে, রাতের চাদরে এবং যদি কোনোদিন৷ প্রথম গান তুই আসবি কবে বল-এর সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত এবং গীতিকার রিতম সেন৷ দ্বিতীয় গান স্বপ্ন পেরিয়-এর দায়িত্বে ছিলেন রণজয় ভট্টাচার্য৷ এই দুটি গানই মুক্তি পেয়েছে৷ যা সকলের পছন্দ হয়েছে৷ এছাড়া অন্য গানগুলির সুর দিয়েছেন বিশ্বরূপ ঘোষ এবং কপিল চট্টোপাধ্যায়৷