এখন তিনি পাখি দেখতে পছন্দ করেন। আর চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে পরিচয় নেই। কিন্তু যে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন, তার পর থেকে সকলের চোখে তিনি 'হিরো'। আর রয়ে গিয়েছে তাঁর সেই 'দ্বিতীয় বাড়ি', 'দ্বিতীয় পরিবার'। কিন্তু চলে গেলেন সেই পরিবারের এক জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তরুণ মজুমদার।
আরও পড়ুন: সকাল থেকে খাননি কিছুই, তরুণ মজুমদারকে হারিয়ে ঘুমও ভুলেছেন সন্ধ্যা রায়
advertisement
সোমবার সকাল ১১.১৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান চিত্রপরিচালক। রেখে গেলেন স্ত্রী, অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়কে। সেই পরিচালকের বাড়িতেই সকাল থেকে রয়েছেন অয়ন।
আরও পড়ুন: এ যেন পিতৃবিয়োগ! "উনি বলতেন আমার ৩ মেয়ে..." কান্নায় ভেঙে পড়লেন দেবশ্রী রায়
নিউজ18 বাংলা যোগাযোগ করলে তাঁর স্মৃতির দরজা খোলে। মনে পড়ে যায় প্রথম আলাপের কথা। অয়ন বললেন ''সাঁতার কাটার জন্য লেকে গিয়েছিলাম। হঠাৎ দুটো লোক এসে আমাকে জোর করে একটি গাড়িতে নিয়ে গেলেন। গাড়িতে ছিলেন সন্ধ্যা রায়। উনি আমাকে সোজা ওঁর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই আলাপ দুজনের সঙ্গে। তার আগে কাউকেই চিনতাম না। তরুণ মজুমদার আমাকে নাম জিজ্ঞাসা করলেন। পরে জানতে পারি, 'শ্রীমান পৃথ্বীরাজ'-এর নায়কের চরিত্রের জন্য আমার মতো চেহারার ছেলেকে খুঁজছিলেন। লেকে সন্ধ্যা রায় আমাকে দেখতে পেয়ে পাকড়াও করেন। সেই থেকে এটাও আমার বাড়ি। আর আত্মীয়তার বন্ধন তৈরি হল। কিন্তু একে একে সুতোগুলি ছিঁড়তে থাকে। মেনে নিতে হয় আর কি।'' `