সেই ভিডিওটিতে পারস বলেন, “আপনার অষ্টম ভবনে চন্দ্র, বুধ ও কেতু একসঙ্গে অবস্থান করছে। চন্দ্র ও কেতুর যুগল সবচেয়ে অশুভ। অষ্টম ভবন সাধারণত ক্ষতি, হঠাৎ মৃত্যু, খ্যাতি, গোপন বিষয় এবং তান্ত্রিক প্রভাব নির্দেশ করে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বুধ, যা মানসিক চাপ ও স্নায়বিক সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।” একসময় এই কথাগুলি হয়তো স্রেফ বিনোদনের অংশ হিসেবে দেখেছিলেন দর্শকরা, কিন্তু এখন তা যেন এক ভৌতিক ইঙ্গিত হয়ে উঠেছে।
advertisement
এই ভিডিওটি এখন অনেকের মনে আশঙ্কা ও কৌতূহল তৈরি করেছে, কারণ শেফালির স্বাস্থ্য নিয়ে তার নিজের পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি যেসব তথ্য দিয়েছিলেন, তা এই ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে মিলে যায়। এক সাক্ষাৎকারে শেফালি জানিয়েছিলেন যে তিনি অতীতে মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং তা কাটিয়ে উঠেছেন।
তিনি বলেন, “আমার প্রথম সিজার হয়েছিল যখন আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি, ১৫ বছর বয়সে। এই স্নায়বিক অসুস্থতার চিকিৎসা রয়েছে। কিছু জীবনধারার পরিবর্তন দরকার হয়। মেডিটেশন ও যোগাভ্যাস এতে সাহায্য করে। নিজেকে শান্ত রাখতে শিখতে হয়।”
শেফালি আরও জানিয়েছিলেন, “আজ আমি ২০ বছর ধরে মৃগীরোগ মুক্ত, এবং আমি এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়াতে সাহায্য করি। চিকিৎসা দরকার হয়, এবং এই অসুস্থতা নিরাময়যোগ্য।” তার এই সংগ্রামের কাহিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিল।
এই দুই তথ্য — পারসের ভবিষ্যদ্বাণী এবং শেফালির নিজস্ব অভিজ্ঞতা — এখন মিলিয়ে দেখে অনেকে একে নিছক কাকতালীয় মনে করলেও, অনেকেই এই ‘সিঙ্ক্রনিসিটি’-কে বাস্তবের গভীরতর প্রশ্ন হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন।
অনেকেরই মতে, এ যেন ভাগ্যের নির্মম খেলা, যেখানে সতর্কতা ছিল, কিন্তু নিয়তি ছিল অন্য কিছু। যদিও তার এই অকাল মৃত্যু হৃদয়বিদারক, তবুও তার মানসিক শক্তি, সচেতনতা এবং নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার সাহস আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে।
শেফালি জারিওয়ালার এই যাত্রা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কখনও কখনও জীবন রহস্যময়ভাবে নিজের পথ তৈরি করে। তাঁর স্পষ্টবাদিতা, মানসিক দৃঢ়তা ও সচেতন বার্তা আজও অনুরাগীদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে রইল।