সম্পাদক ও লেখক অরুণাভ সিনহা ও সুবোধ সরকার অনুবাদে তাঁর লেখা পড়বেন। শঙ্খবাবুর কবিতা উদযাপন করবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব সোহিনী সেনগুপ্ত, বাচিকশিল্পী বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ, প্রণতি ঠাকুর ও মধুমিতা বসু, অভিনেত্রী সোহিনী সরকার,অনন্যা চট্টোপাধ্যায় ও নন্দনা সেন, বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মমতাশঙ্কর, অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও কিংবদন্তি শর্মিলা ঠাকুর। এই স্মৃতিসন্ধায় রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করবেন প্রমিতা মল্লিক, লোপামুদ্রা মিত্র,প্রবুদ্ধ রাহা, জয়তী চক্রবর্তী, রোহিনী রায় চৌধুরী, শ্রবন্তী বসু বন্দ্যোপাধ্যায়, সুছন্দা ঘোষ, রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায়, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়, ঋতপা ভট্টাচার্য্য প্রমুখ ।
advertisement
অনুষ্ঠানের সমগ্র পরিকল্পনায় সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি জানালেন, "ভারতীয় কবিতার অন্যতম কবির জীবন ও রচনাগুলি উদযাপন করা আমাদের জন্য সম্মানের এবং সম্ভবত তিনি যে উত্তরাধিকার রেখে গিয়েছেন, তা রক্ষার এক অনন্য উপায়"।
৯০ বছর বয়সে আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে যান শঙ্খবাবু। করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের চাঁদপুরে জন্ম তাঁর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় যোগ দেন। বঙ্গবাসী কলেজ, সিটি কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। বিশ্বভারতী ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়িয়েছেন শঙ্খবাবু। ১৯৭৭-এ ‘মূর্খ বড়, সামাজিক নয়’ কাব্যগ্রন্থের জন্য নরসিংহ দাস পুরস্কার, একই বছরে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান শঙ্খবাবু।
১৯৮৯ সালে ‘ধুম লেগেছে হৃদকমলে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার, ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’-এর জন্য সরস্বতী পুরস্কার পান। ২০১৬ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।
১৯৯৯ সালে বিশ্বভারতীর দেশিকোত্তম সম্মান ও ২০১১-য় ভারত সরকারের পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত কাল জয়ী কবি।
Arunima Dey