সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandhya Mukhopadhyay) একাধিক অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছে না অর্থাৎ মাল্টি অর্গ্যান ডিসফাংশন রয়েছে। নবতিপর গায়িকার ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ রয়েছে, ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের চিকিৎসা চলছে। তবে, চিকিৎসায় ভাল সাড়া মিলছে, ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'গেহেরাইয়া' ছবিতে দীপিকার দিক থেকে চোখ ফেরানো দায়! সোশ্যালে প্রশংসার ঝড়
advertisement
আপাতত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে দিতে হচ্ছে না অক্সিজেন। তিনি নিজেই সেমি ফ্লুইড খাবার খেতে পারছেন। অ্যাপোলো হাসপাতালের তিন তলার ৩৫৫ মহারাজা কেবিনেই এখনও রাখা হয়েছে তাঁকে। গীতশ্রীর শারীরিক উন্নতিতে খুশি চিকিৎসকেরা, স্বস্তি প্রবীণ গায়িকার পরিবার ও ভক্তদের মনে।
আরও পড়ুন: আলিয়া-রণবীর গোপনে বিয়ে সেরে ফেলেছেন? খবর ফাঁস হতেই তুমুল উত্তেজনা বলিউডে
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের চিকিৎসা করছে ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। রয়েছেন ডঃ শুসান মুখোপাধ্যায় (ডিরেক্টর ও এইচওডি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি), ডঃ প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডল (এইচওডি কার্ডিওলজি), ডঃ বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায় ( ডিরেক্টর, অর্থোপেডিক), ডঃ রঞ্জন কামিল্যা (সিনিয়র কনসালট্যান্ট, অর্থোপেডিক সার্জন), ডঃ সন্দীপ কুমার ভট্টাচার্য (কনসালট্যান্ট নেফরোলজিস্ট)।
২৭ জানুয়ারি শ্বাসকষ্ট, হালকা জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ কেবিনে ভর্তি হন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গ্রিন করিডর করে গীতশ্রীকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম-এ। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের বক্ষরোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ কুন্ডু। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই তাঁকে দেখেছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অসীম কুন্ডু এবং মেডিসিন-এর চিকিৎসক নিলাদ্রি সরকার (Sandhya Mukhopadhyay critically ill)। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুটি ফুসফুসেই গভীর সংক্রমণ রয়েছে। রয়েছে সামান্য তাপমাত্রা ও আচ্ছন্নভাব। প্রাথমিকভাবে শিল্পীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়। নবতিপর শিল্পী বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থতায় ভুগছিলেন (Sandhya Mukhopadhyay critically ill)। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁকে সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়। জ্বর কমানোর ওষুধ এবং অক্সিজেন দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। করা হয় করোনার আরটিপিসিআর (RTPCR) টেস্ট, রিপোর্ট পজিটি আসে। এর পরই তাঁকে স্থানান্তর করা হয় অ্যাপোলো হসপিটালে।