সলমন খান বলেন, ‘আমরা আমাদের সেই কাছের মানুষটিকে হারিয়েছি- আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ, ধর্মেন্দ্রজি। আমি মনে করি না ধরমজির চেয়ে ভাল মানুষ আর কেউ হতে পারেন। উনি যে ভাবে জীবন কাটিয়েছেন, তা কিং সাইজ ছিল, মন খুলে বেঁচেছেন। উনি ইন্ডাস্ট্রিতে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন- কমেডি, অ্যাকশন সব কিছু।’ সলমন বারবার থেমে যাওয়ায় দৃশ্যত অভিভূত হয়ে অডিটোরিয়াম নীরব হয়ে পড়ে।
advertisement
এর পর সলমন আরও বলেন যে, অনলাইনে ধর্মেন্দ্রর প্রতি এই প্রথম তিনি এত অসাধারণ জনসমাগম দেখতে পেলেন। আবেগে আপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, ‘মূল কথা হল… তিনি ২৪ নভেম্বর মারা গিয়েছেন, সেদিন আমার বাবার জন্মদিন এবং আগামীকাল তাঁর জন্মদিন, সেই সঙ্গে আমার মায়েরও। যদি আমার এমন অনুভূতি হয়, তাহলে কল্পনা করুন সানি এবং তার পরিবার কী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
নিজেকে সামলাতে না পেরে সলমন আরও বলেন, ‘দুটি শেষকৃত্য অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছিল: সুরজ বরজাতিয়ার মা এবং ধরমজির। সবাই কাঁদছিল, কিন্তু সেখানে একটা সাজসজ্জা ছিল, জীবনের উদযাপন ছিল। ববি এবং সানিকে শুভেচ্ছা। প্রতিটি শেষকৃত্য এবং প্রার্থনাসভা এত সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা উচিত।’
এই প্রসঙ্গে একটা কথা অনেকেরই মনে পড়ে যেতে পারে। ধর্মেন্দ্র বললেই যে শোলে ছবির কথা সবার আগে মনে পড়ে যায় ভক্তদের, তার চিত্রনাট্য লিখেছিলেন জাভেদ আখতার এবং সলমন খানের বাবা সেলিম খান যুগ্মভাবে। ধর্মেন্দ্র যে পেশিবহুল নায়কের ধারা ভারতীয় ছবির ইতিহাসে প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন, সেই উত্তরাধিকারও সার্থক ভাবে বহন করে চলেন সলমন খান। ফলে, তাঁর খারাপ তো লাগবেই!
যদিও ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলির ঝড় বইছে, জাতীয় টেলিভিশনে সলমন খানের আবেগঘন স্মৃতিচারণ কেবল একজন বর্ষীয়াণ সহকর্মীর প্রতি শোককেই তুলে ধরেনি, বরং ধর্মেন্দ্রকে ভালবেসে বেড়ে ওঠা একটি জাতির সম্মিলিত হৃদয়বিদারক অনুভূতিকেও তুলে ধরেছে।
