চলতি বছর মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে গত ১৬ জানুয়ারি কাকভোরে দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হন সইফ৷ মোট ৬ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁকে৷ চিকিৎসকরা জানান সেগুলির মধ্যে শিরদাঁড়ার খুব কাছে ২ টি আঘাত ছিল গুরুতর৷ রক্তাক্ত হামলার পর সইফকে অটোরিকশায় নিয়ে যাওয়া হয় লীলাবতী হাসপাতালে৷ কিন্তু সইফের মতো তারকাকে কেন সাধারণ মানুষের মতো অটোতে যেতে হল হাসপাতালে? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷
advertisement
সইফ বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় বলাবলি হচ্ছে, আরে এরকম ধনীদের বাড়িতে রাতে কোনও ড্রাইভার নেই? আমাদের বাড়িতে সারা রাত কোনও গাড়িচালক থাকেন না৷ প্রত্যেকেরই একটা ঘর আছে দিনের শেষে ফিরে যাওয়ার জন্য৷ কিছু কর্মী থাকেন বাড়িতে৷ কিন্তু ড্রাইভাররা থাকেন না৷ যদি রাতে কোথাও যাওয়ার বা অন্য কোনও প্রয়োজন থাকে, তাহলে আমরা গাড়ির চালকদের থেকে যেতে বলি৷’’
তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘চাবি খুঁজে পেলে আমি নিজেই গাড়ি চালাতাম৷ কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে সেটা করিনি৷ তবে আমার পিঠের ক্ষত নিয়ে বেশি নড়াচড়া করা উচিত হত না৷ সেদিন রাত তিনটের সময় গাড়িচালককে ফোন করতেই পারতাম৷ কিন্তু তাঁর তো ঘটনাস্থলে পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগত, তাই না? আমাকে তো যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পৌঁছতে হত৷’’
লীলাবতী হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন সইফ৷ ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত হওয়ার পরও তিনি নাকি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন-এই চর্চাও ঝড় তুলেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ সেই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন তিনি৷ জানিয়েছেন ওই ঘটনার দু’ সপ্তাহ পর তিনি তাঁর পরবর্তী সিনেমার প্রোমোশনের জন্য একটি ইভেন্টেও অংশ নিয়েছিলেন৷
অভিনেতার কথায়, ‘‘আমার মনে হয় এই ধরনের ঘটনার পর নানারকম প্রতিক্রিয়া আসবে৷ লোকে হাসিঠাট্টা করবে৷ অবিশ্বাস করবে৷ মশকরা করবে৷ একদিকে আমার মনে হয় এই গুঞ্জন বা রটনাই আমাদের জীবনকে রঙিন করে তোলে৷ যদি সকলেই কোনও ঘটনার প্রতি সমব্যথী হয়ে ওঠেন, তাহলে সবকিছুই নীরস হয়ে উঠবে৷ এসব যে হবে, জানতাম৷ তাই প্রতিক্রিয়া বা উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করিনি৷’’