বৃহস্পতিবার কাকভোরে ছুরিকাহত, রক্তাক্ত সইফকে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁর এক বন্ধু৷ সে সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সইফ এবং অমৃতার পুত্র ইব্রাহিমও৷ তার ১৫ মিনিটের মধ্যেই দিদি করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছন সইফের স্ত্রী করিনা৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করে সইফের কর্মচারীদের জেরা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ জানা গিয়েছে বাড়ির একজন মহিলা কর্মীও আহত হয়েছেন এই ঘটনায়৷ সইফের বাড়িতে গত দু’দিন ধরে মেঝে পালিশ করার কাজ চলছে৷ সেই কাজে আসা মিস্ত্রিদের আটক করা হয়েছে৷ তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷
advertisement
বান্দ্রায় সইফ-করিনার এই বাড়িতে মোট ৭ জন কর্মী থাকেন সর্বক্ষণ৷ তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ৷ চলছে জিজ্ঞাসাবাদ৷ কড়া নিরাপত্তা ভেদ করে বহুতলের ১২ তলায়, সইফের থাকার জায়গায় কী করে দুষ্কৃতী পৌঁছল-সেটা ভাবাচ্ছে পুলিশকে৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা ঘটনার অনেক আগেই ওই বহুতলে ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতী৷ তার পর সুযোগ বুঝে ডাকাতির চেষ্টা করে৷ তার সঙ্গে হাতাহাতিতে সইফ জড়িয়ে পড়ে৷
পালানোর আগে সইফকে ছ’বার ছুরি দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতী৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে তারকার দু’টি আঘাত গুরুতর৷ তার মধ্যে একটি মেরুদণ্ডের কাছে৷ অস্ত্রোপচারের পর অভিনেতা এখন বিপন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷