মেদিনীপুরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এস.ডি বর্মন এবং তাঁর পরিবারের রক্তের সম্পর্ক। ত্রিপুরার সঙ্গে যোগাযোগ হয় বাংলার মেদিনীপুর জেলার দাঁতনের এক রাজ পরিবারের। রাজ পরিবারের রাজপুত্রের সঙ্গে বিবাহ হয় এস.ডি বর্মনের বোনের। সেই হিসেবেই মেদিনীপুরের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্কে জুড়ে যান বিশ্ববিখ্যাত এই কিংবদন্তি। যা অত্যন্ত গর্বের এবং গৌরবের।
advertisement
শচীন দেব বর্মন, যিনি শুধু একা নন, তাঁর গোটা পরিবার সঙ্গীত ঘরানার। শচীন দেব বর্মনের স্ত্রী, ছেলে প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পী। শুধু তাই নয় শচীন দেব বর্মনের পুত্রবধূ আশা ভোঁসলে ভারতবাসীর কাছে একজন বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী। কালক্রমে আশা ভোঁসলের সঙ্গেও আত্মীয়তার সম্পর্ক দাঁতনের। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরে বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকায় মনোহরপুরে থাকা জমিদার পরিবারের পুত্র ক্ষিতীশচন্দ্র রায় বীরবরের সঙ্গে বিয়ে হয় ত্রিপুরার রাজবংশের কন্যা লতিকার। এই লতিকা ছিলেন ত্রিপুরার রাজা কৃষ্ণকিশোর মানিক্য দেব বর্মন বাহাদুরের উত্তরসূরী। অন্যদিকে এস.ডি বর্মন, আর.ডি বর্মন ছিলেন রাজা কৃষ্ণকিশোরের বংশধর।
আরও পড়ুন : জনপ্রিয় অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! ৩২ বছর বয়সে রহস্যমৃত্যু সিনেমা, টেলিভিশনের নামী তারকার
পরবর্তীতে, শচীন দেব বর্মনের বোনের বিয়ে হয়, প্রত্যন্ত গ্রাম দাঁতনে। সুদূর ত্রিপুরার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয় মেদিনীপুরের। জুড়ে যায় কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর সঙ্গে গ্রামের সম্পর্ক। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, দাঁতনে রেল পথ স্থাপনের পর বেশ কয়েকবার হয়তো আসা-যাওয়া করেছেন শচীন দেব বর্মন। যদিও সে বিষয়ে তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় না। তবে শচীন দেব বর্মনের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন তার এই খুড়তুতো বোন।