সম্প্রতি ব্লেন্ডার্স প্রাইড গ্লাসওয়্যার ফ্যাশন ট্যুর-এ (Blenders Pride Glassware Fashion Tour) যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন সস্ত্রীক রাজকুমার। সেখানেই তিনি উল্লেখ করেন আদিত্য বিক্রমের ছবি আসা যাওয়ার মাঝে-র কথা। ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা পেয়েছিল ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায় অভিনীত এই ছবি। জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেতা রাজকুমার অকপটে স্বীকার করেন ‘আসা যাওয়ার মাঝে’ ছবিটি তাঁকে মুগ্ধ করেছে। মুগ্ধ করেছেন আদিত্য বিক্রমও। রাজকুমার বলেন, ‘‘পরিচালকের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে, আমরা বন্ধু। আশা করি একদিন না একদিন আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’’
advertisement
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ভাসান বালার ছবি ‘মনিকা, ও মাই ডার্লিং’। আর সেখানেও নিজের কাজের জন্য প্রশংসা পাচ্ছেন রাজকুমার। ১২ বছরের অভিনয় জীবনে একের পর এক ভাল চরিত্রে অভিনয়ের কৃতিত্ব অবশ্য তিনি দিতে চান পরিচালকদেরই। রাজকুমার বলেন, ‘আমি অসাধারণ সব পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছি। তাই, আমি যে ছবিতে শুটিং করি সেটাই আমার স্বপ্নের ভূমিকা।’
তবে অভিনেতা না হলে ফ্যাশন ডিজাইনার হতেন বলেও মন্তব্য করেছেন রাজকুমার। সম্প্রতি কলকাতার এক ফ্যাশন শো-তে স্ত্রী পত্রলেখা পলের সঙ্গেই শো-স্টপার হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। প্রখ্যাত ডিজাইনার জুটি শান্তনু-নিখিলের তৈরি পোশাক পরেন তাঁরা। বস্তুত পত্রলেখার হাত ধরে এই প্রথম র্যাম্পে হাঁটলেন বলে জানিয়েছেন রাজকুমার। ওই অনুষ্ঠানেই রাজকুমার বলেন, তিনি ডিজাইনার হলে র্যাম্পে মডেলদের সাজবেন কোয়ার্কি ড্রেসে। আর সে সব জামা কাপড়ে থাকবে পরীক্ষা নিরীক্ষার ছাপ। যা আগামীর কথা বলবে।
বাংলার জামাই হিসেবে রাজকুমার বেশ গর্বিত, জানিয়ে দিতে ভুলে যাননি।এই প্রথম রাজকুমার আর পত্রলেখার একসঙ্গে র্যাম্পে হাঁটা।