কোনও টলি বা বলির গীতিকার নন, ২০০৫ ব্যাচের আইপিএস অফিসার এই গানের স্রষ্টা। যিনি চাকরি জীবনের শুরুতে অশান্ত জঙ্গলমহল পরিস্থিতিতে দায়িত্ব সামলেছেন। দায়িত্ব সামলেছেন বীরভূমের পুলিশ সুপারের পদেও। দীর্ঘ সময় কখনও কলকাতা পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, আবার কখনও জয়েন্ট সিপি ক্রাইম বা কখনও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদে। বর্তমানে আইজি পদমর্যাদার অফিসার মুরলিধর শর্মা। যার লেখনিতেই উঠে এসে আইটেম সং ‘ডিজে পে মস্ত কোয়ি গানা বাজা…যব তক ইয়ে শ্বাস চলে শোর মাচা…।’
advertisement
প্রায় ৩০ বছর আগে থেকেই লেখা শুরু। গজল প্রিয়, মননে উর্দু। ছাত্রাবস্থায় গজল এবং উর্দু কবিতার লেখার শুরু জানাচ্ছেন পুলিশ কর্তা মুরলিধর শর্মা।
কিন্তু হঠাৎ বাংলা সিনেমার আইটেম সং? তিনি বলেন, “সঙ্গীত পরিচালক রানা মজুমদার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমাকে অনুরোধ করেন যে, তারা একটি বাংলা ছবির জন্য একটি হিন্দি গান চান। প্রথমে আমি একটু দ্বিধাবোধ করে ছিলাম। কারণ আমি কখনওই সিনেমার জন্য গান লিখিনি, বিশেষত ডান্স নম্বরের জন্য। বললাম যে, আমি নিশ্চিত নই, তবে চেষ্টা করতে পারি। তিনি বললেন, ঠিক আছে, আপনি চেষ্টা করুন। তারপর আমি কিছু লাইন লিখে পাঠালাম, তিনি সেটা পছন্দ করলেন। এরপর আমি পুরো গানটি লিখি।” ওই গানে সুর দিয়েছেন সুনিধি নিজেই। আর আইটেম গানে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই উত্তাপ ছড়িয়েছে।
‘মৃগয়া দ্য হান্ট’ বাংলা সিনেমার পটভূমিকায় পুলিশ অফিসাররা। অভিরূপ ঘোষ পরিচালিত ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋত্ত্বিক চক্রবর্তী, সৌরভ দাস, অনির্বাণ চক্রবর্তী। উত্তর কলকাতার একটি সত্য ঘটনার পটভূমিতে তৈরি হয়েছে চিত্রনাট্য। আর এই চিত্রনাট্য লিখেছেন কলকাতা পুলিশের ১৯৯৬ ব্যাচের এক অফিসার দেবাশিস দত্ত, যিনি নিজে কলকাতা পুলিশের মানিকতলা থানার বর্তমান ওসি।
মুরলিধরের কথায়, “এখনও পর্যন্ত আমার একটি উর্দু গজলের বই প্রকাশিত হয়েছে। আর একটি বই প্রকাশনীর হাতে রয়েছে এবং শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। আমি কবিতা লিখতে ভালোবাসি, বিশেষত উর্দু গজল।”