ছবির গল্প আকাশগঞ্জ গ্রামকে ঘিরে৷ সেখানে ঘোতন আছে, আছেন তাঁর বটব্যাল স্যার৷ রয়েছে গ্রামের মন্দির এবং সেই মন্দিরের পূজারি৷ গ্রামের প্রধান, তাঁর চেলারা এবং বিদেশ থেকে আসা এক ভিলেন৷ ঘোতনের জন্য পপিন্সও আসে এই গ্রামে৷ সেই গ্রামে লুকনো আছে পক্ষীরাজের ডিম যা ঘিরে ছবির প্লট৷ সৌকর্য ম্যাজিক রিয়ালিজম নিয়ে কাজ করেছেন এর আগে রেনবো জেলিতে৷ সেখানে ছিল এক পরী, যিনি সাত রঙের সাত স্বাদের খাবারের মধ্যে দিয়ে মানুষের মনকে কন্ট্রোল করতে পারতেন৷ আর পক্ষীরাজের ডিম-এ মানুষের ইমোশনের গ্রাফকে বোঝানোর এক ব্যবস্থা করেছেন পরিচালক৷ উল্লেখ্য এর মধ্যে রয়েছে এক বড় চেতনা৷ আপাতদৃষ্টিতে খুব সহজ কথার মাধ্যমে সৌকর্য আসলে মানুষের জটিল মনের তল খোঁজার চেষ্টা চালিয়েছেন৷
advertisement
আরও পড়ুনInterview: ছোটদের ছবি তৈরি করতে চান প্রযোজকরা, তাহেল কেন বেশি হয়না জানি না: সৌকর্য ঘোষাল
এই ছবির মধ্যে সত্যজিৎ রায়ের বঙ্কুবাবুর বন্ধরা গল্পেক একটা ছাপ রয়েছে৷ বিশেষ করে একটি নির্দিষ্ট সিন সেটা মনে করাবে৷ ছবির চিত্রগ্রহণ থেকে সম্পাদনা অনবদ্য৷ সঙ্গীতের ব্যবহার সেভাবে মন না কাড়লেও, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ছবিটিকে আরও সুন্দর করে প্রেজেন্ট করতে সাহায্য করেছে৷ এবার আসা যাক অভিনয়ের কথায়৷ অপূর্ব মহাব্রত বসু৷ এতে তাঁর যেমন ক্রেডিট রয়েছে, তেমনই সৌকর্যকেও বাহবা দিতে হবে, এমন এক অভিনেতাকে খুঁজে বার করার জন্য৷ কোথায় যেন মনে হয়েছে মহাব্রত ও ঘোতন মিলেমিষে গেছে রিল ও রিয়েলে৷ অনুমেঘা বড্ড মিষ্টি৷ বটব্যাল স্যার হিসেবে অনির্বাণ ভট্টাচার্য খুবই ভাল৷ তবে এটা তাঁর সেরা অভিনয়গুলির মধ্যে হয়ত পড়বে না৷ খুবই চমকপ্রদ অভিনয় করেছেন শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়৷ বাকি সকলেই অত্যন্ত মানানসই৷
কেন এই ছবি দেখবেন? তার বেশ কয়েকটা কারণ আগেই উল্লেখ করেছি৷ তবে যেটা বলার তা হল, বাংলায় কম বাজেটে কল্পবিজ্ঞানের ছবি বানিয়ে বেশ সাহসের পরিচয় দিয়েছেন সৌকর্য৷ এবং সেই সাহস পর্দায় ফুটে উঠেছে৷ এবং যে কল্প বিজ্ঞানের জন্য স্পেস ট্র্যাভেল করাতে হয়, এমন ধারণা রয়েছে, সেটা এখানে একেবারে অন্যরকম ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক৷ গ্রাম বাংলার সঙ্গে বিজ্ঞানের এক অপূর্ব বিশ্বাসযোগ্য মিশেল ঘটিয়েছে এই ছবি৷ যা বেশ গ্রহণযোগ্য হয়েছে৷