Interview: ছোটদের ছবি তৈরি করতে চান প্রযোজকরা, তাহেল কেন বেশি হয়না জানি না: সৌকর্য ঘোষাল

Last Updated:

রেনবো জেলির একটা ইউনিভার্স তৈরি করছেন তিনি৷ প্রযোজনায় এসভিএফ৷ তবে শুধু সিকুয়াল বা ইউনিভার্সের তৈরির তাগিদে নয়, পক্ষীরাজের ডিম তিনি তৈরি করেছেন মূলত সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে৷

News18
News18
রোনবো জেলির ঘোতন-পপিন্সকে ভুলে যাননি নিশ্চয়ই৷ এবার তাদের সিকুয়াল আসছে পক্ষীরাজের ডিম৷ বলিউডে তারে জামিন পরের পর সিতারে জমন পর নিয়ে আসছেন আমির খান৷ শুধু তাই নয় এখন এক একটি ছবির ইউনিভার্স তৈরির চেষ্টা করছেন পরিচালক-প্রযোজকরা৷ বাংলায় সেই কাজটি করতে চলেছেন পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল৷ রেনবো জেলির একটা ইউনিভার্স তৈরি করছেন তিনি৷ প্রযোজনায় এসভিএফ৷ তবে শুধু সিকুয়াল বা ইউনিভার্সের তৈরির তাগিদে নয়, পক্ষীরাজের ডিম তিনি তৈরি করেছেন মূলত সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে৷ পরিচালনা হোক না কার্টুনিস্ট, সত্যিজিৎ রায়কে নিজের গুরু মানেন সৌকর্য৷ বঙ্কুবাবুর বন্ধু-র স্ক্রিপ্ট নিয়ে হলিউডে কাজ করতে চেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়৷ সেই সময় ছবি তৈরি করা হয়নি৷ যদিও পরে ইটি ছবিটি তৈরির পর অভিযোগ ওঠে যে সত্যজিতের স্ক্রিপ্ট থেকেই নাকি স্পিলবার্গ তৈরি করেছিলেন এই ছবিটি৷ তবে আপাতত এই সব তর্ক-অভিযোগ দূরে রেখে বিশ্বখ্যাত বাংলার পরিচালকের জন্মশতবর্ষের উদযাপন হিসেবে তাঁকেই এই ছবি উৎসর্গ করেছেন তাঁর অনুরাগী পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল৷ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায়৷ পক্ষীরাজের ডিম ছবি তৈরির গল্প নিয়ে নিউজ 18 বাংলার প্রতিনিধি পূজা বসু দত্তের মুখোমুখি পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল৷
প্রশ্ন- পক্ষীরাজের ডিম কি রেনবো জেলির সিকুয়াল? রেনবো জেলি তৈরি করার সময় থেকেই কি মাথায় ছিল?
উত্তর- হ্যাঁ, পক্ষীরাজে ডিমকে রেনবো জেলির সিকুয়াল বলা যেতে পারে৷ আমরা বলছি রেনবো জেলি ইউনিভার্সের সেকেন্ড চ্যাপ্টার৷ এখানে ঘোতন আর পপিন্সের এখন কী অবস্থা জীবনে, ওরা এখন কি ক্রাইসিসে জড়িয়ে পড়েছে এই নিয়ে ছবি৷ আমরা রোনবো জেলির শেষে দেখি যে ঘোতন একটা স্কুলে পড়ার জন্য চলে যায় বাড়ি থেকে ওর উকিল দাদুর কাছে৷ এখানে সেটাই দেখায় আকাশগঞ্জ বলে একটা গ্রাম যেখানে গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা হয়। বোর্ডের পরীক্ষার সিলেকশন টেস্টেও অঙ্কে শূন্য পেয়েছে এবং একটা তুমুল ক্রাইসিসে জড়িয়ে পড়েছে। যেখানে পপিন্সের ওকে সাহায্য করতে আসে৷ অঙ্কে ওকে শূন্য দিয়েছে গ্রামের একজন অঙ্কের টিচার যার নাম বটব্যাল স্যার এবং তিনি ঘোতনকে অঙ্ক একদমই শেখাতে রাজি নয়। কারণ ঘোঁতনের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তাঁর বিরক্তি যথেষ্ট আছে। কারণ তাঁর জীবনের স্বপ্ন ছিল তিনি বিজ্ঞানী হবেন। কিন্তু রয়ে গেছেন আকাশগঞ্জে। ঘোতনেরও জীবনের স্বপ্ন বিজ্ঞানী হবে এবং সে আকাশগঞ্জ স্কুলে এসে পড়েছে। একজন অঙ্কের টিচারের স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞানী হবে কিন্তু হয়ে ওঠা হয়নি। সেই শূন্য দিয়েছে এমন একজনকে যাঁর স্বপ্ন বিজ্ঞানী হবে কিন্তু হয়ে ওঠা হচ্ছে না। তো এর মধ্যে ঢুকে পরে পক্ষীরাজে ডিম বলে একটা জিনিস যা দিয়ে মানুষের ইমোশন দেখা যায়৷ সেই ডিমটা আসলে কী সেটা নিয়ে স্যারের কাছে যায় এবং স্যারকে প্রায় এক রকম ঘুষ দেওয়ার মতো করে সে অঙ্ক শিখতে চায় এবং অঙ্ক পরীক্ষায় পাস করতে চায় এবং মাধ্যমিক দিতে চায়। কারণ ঘোঁতেনর মায়ের স্বপ্ন ছেলে বিজ্ঞানী হবে। এই সিকুয়েল এই এইটা আমার রেনবো জেলি সময় মাথায় ছিল না সত্যিকারের কিন্তু রেনবো জেলি পরে রেনবো জেলি এত মানুষের সমাদর পাওয়ার পর বিশেষ করে বাচ্চাদের অনেক রিঅ্যাকশন পাওয়ার পর, বিশেষ করে ঘোঁতন-পপিন্সের কী হল এইসব অনেক প্রশ্ন আসতে থাকে ছবিটাকে কেন্দ্র করে। তখন আমার মনে হয়েছিল যে হতে পারে একটা অধ্যায় এবং পূজা (সৌকর্যের স্ত্রী) আমাকে খুব বলেছিল যে একটা সিকুয়েল যদি হয়, সেই থেকে এই ভাবনা চিন্তা৷ কিন্তু এটা লেখার সময় মাথায় মাথায় ছিল যে রেনবো জেলিতে সায়েন্স ফ্যান্টাসি খুব হয়তো না থাকলেও এই ছবিতে একদম সরাসরি ভাবে আসবে এবং সেই জায়গা থেকেই ছবিটা করা।
advertisement
advertisement
প্রশ্ন- ঘোতন-পপিন্স যে একই থাকবে, এটা কীভাবে সম্ভব হল?
উত্তর- মানে ঘোতন পপিন্স একই থাকবে। এটা তো প্রথম শর্ত। কারণ ওদেরকে নিয়ে আর কি গল্পটা তো ওটা আমার প্রথম স্ক্রিপ্ট প্রথম থেকেই ছিল নতুন যত ক্যারেক্টার আসছে তাঁদের নিয়ে নতুন করে কথা হয়েছে। কিন্তু নতুন ঘোঁতন-পপিন্স তো একই থাকবে৷ কারণ ঘোতন পপিন্সের জার্নিটা দেখানোর জন্য এই ছবিটা বানানো৷ এটা খুব হয়তো সহজ ছিল না। কারণ সবসময় সব সিকুয়েলে যে বাচ্চাদের রিপিট করা হয় তা নয়৷ কিন্তু এক্ষেত্রে আর কোনও অপশনই ছিল না। যে ছবিটা পিচ করি প্রথমে প্রযোজককে এবং তার পরে স্ক্রিপ্টটা শোনার পরে ওদের মনে হয় যে ঘোঁতন পপিন্স আসলে সত্যি এই ছবিটার জন্য প্রয়োজনীয়৷ সেজন্য প্রথম স্ক্রিপ্ট মিটিংয়ের পর থেকে আমার আর কোনও সমস্যা হয়নি।
advertisement
প্রশ্ন- ছোটদের জন্য ছবি বানানো কতটা মজার? নাকি অনেকটা বেশি ধৈর্য প্রয়োজন?
উত্তর- ছোটদের ছবি বানাতে আমার খুবই মজার লাগে। আমি তো সব সময় ছোটদের নিয়ে অনেক ছবি করেছি। ছোটদের ছবি তো ওভাবে হয় বলে আমার মনে হয় না। আমার মনে হয় দু’রকমের ছবি হতে পারে একটা হয়তো বড়দের ছবি একটা ইউনিভার্সাল ছবি৷ আর সত্যজিৎ রায় নিজেও বলেছেন যে ছোটদের ছবি বানাতে চান বলে গুপী গাইন বাঘা বাইন, হীরক রাজার দেশে, ফেলুদার ছবিগুলো বানিয়েছেন। কিন্তু এটা তো ঘটনা যে আমরা এটা বুঝতে পারি যে ছোটদের ছবি হয়তো তাকেই বলা হয় যার মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ দর্শক ছোটো। এক তো ছোটদের ছবি বানানোর খুব মজার৷ কারণ ওটা বানাতে গেলে গল্প লেখার সময় বা স্ক্রিপ্ট লেখার সময় যেন ছোটবেলা ফিরে যেতে পারি৷ আমারা রেনবো জেলিতে একটা দীর্ঘ ওয়ার্কশপ করেছিলাম, এখানেও তাই৷ এখানে আমরা চার মাসের ওয়ার্কশপ করেছি। কিন্তু সমস্ত ছবিতেই তো আমার বাচ্চারা আছে। আমি তাদেরকে নিয়ে ওয়ার্কশপ করে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আমার কাছে আজকের খুব অসুবিধা লাগে না। আর ধৈর্যটা আমার আছে, একটু বেশিই আছে, সেটা বাচ্চাদের ছবিতে অভিনয় করানোর ক্ষেত্রে হোক কিংবা একটা সিনেমা বানিয়ে বহু বছর পরে রিলিজ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা হোক। ধৈর্য আমার আছে বলে আমার মনে হয়।
advertisement
প্রশ্ন- নিজেও কী মাঝে মাঝে ছোটদের বই পড়েন? বা ছোটদের ছবি দেখেন?
উত্তর- হ্যাঁ, আমি ছোটদের বই এখনও প্রচুর পড়ি৷ শিশুসাহিত্য আবার পড়ি আমার ভালো লাগে ওগুলো বারবার পরতে৷ বিশেষ করে লীলা মজুমদার, সত্যজিৎ রায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এঁদের যে লেখাগুলো আমাকে ব্রিদিং স্পেস দেয়৷ আজকের বাস্তবে দাঁড়িয়ে মনে হয় যেন এখনো প্রাণ আছে।  এনার্জিটা পাওয়া যায়। মাজিদ মাজিদি আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন পরিচালক৷ আব্বাস কিয়ারোস্তামি আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন পরিচালক৷ সত্যজিতের কথা আর নতুন করে কী বলব৷ তারে জমিন পর কিংবা সিক্রেট সুপারস্টার, এ ধরনের হিন্দি ছবিগুলো আমার খুব দেখতে ভাল লাগে এবং সেগুলো বারবার দেখি। স্ট্যানলি কা ডাব্বা বা এগুলো বারবার আমি দেখি আমার খুব ভাল লাগে।
advertisement
প্রশ্ন- বাংলায় এখন ছোটদের জন্য কম ছবি তৈরি হয়৷ এর পিছনে শুধুমাত্র কী ব্যবসার বিষয়টিই রয়েছে? নাকি এখনকার ছোট ছেলেমেয়েরা বাংলা ছবি দেখা বা বাংলা বই বেশি পড়ছে না?
উত্তর- বাংলায় ছোটদের ছবি কেন কম হয়? আমি জানি না। কারণ প্রযোজকরা কিন্তু ছোটদের ছবি প্রভূত করতে চান। মজার কথা হচ্ছে এই মুহূর্তে আমার যখন ছবি রিলিজ করছে তখন অনেকগুলো ছবি হলে খুব ভাল রমরমিয়ে চলছে যেগুলো ছোটদের নিয়ে। সুতরাং এটা বোঝা যায় যে ছোটদের ছবি করলে কিন্তু বাংলায় চলবে এবং এই মুহূর্তে হয়তো অনেকগুলো ছোটদের ছবি হচ্ছে৷ কিন্তু মজার কথা হচ্ছে, যখন রেনবো জেলি রিলিজ করেছিল তখন হামি আর উমাও রিলিজ করেছিল। তখন অনেকগুলো ছোটদের ছবি হয়েছিল৷ ফলে সত্যিই আমার কাছে এর উত্তর নেই৷ কিন্তু ছেলেমেয়েরা বাংলা ছবি দেখছে না কিংবা বাংলা গল্পের বই পড়ছে না এইটা সঙ্গে ছোটদের ছবি না হওয়ার যে খুব সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না।
advertisement
প্রশ্ন- আপনার যে কটা ছবি তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে ৩টে পুরোপুরি ছোটদের জন্য৷ এটা কী কাকতালীয়? নাকি এর পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে?
উত্তর- আমার যেকটা ছবি হয়েছে তার মধ্যে রেনবো জেলি, পক্ষীরাজের ডিম এবং ভূতপরী পুরোপুরি ছোটদের নিয়ে৷ লোডশেডিং বলে একটা ছবি বানিয়েছিলাম সেটা বয়ঃসন্ধি নিয়ে৷ এটা কাকতালীয় নয়৷ এদের গল্প বলতে আমার খুব ভাল লাগে৷ কারণ আমি যখন বড় হয়েছি তখন আমাকে সবচেয়ে বেশি ওটা অনুপ্রাণিত করেছে৷ আমার মনে হয় ওটা আমি খুব সহজভাবে এটা করতে পারি৷ ছোটদের নিয়ে আমার কাজ প্রচুর মানুষ গ্রহণ করেছে, সমাদর দিয়েছে৷ এজন্য আমার ছোটদের ছবি তৈরি করার একটা ইচ্ছে রয়েছে৷ আর ছোটদের যদি ছবিটা ভাল করে বোঝাতে পারি, তাহলে সেটা বড়রাও বোঝেন৷ ফলে এই স্কিলটা যদি একবার তৈরি হয় তাহলে ছবি বানানোর যে মুন্সিয়ানা খুব তাড়াতাড়ি রপ্ত হয়৷
advertisement
প্রশ্ন- মহাব্রত-অনুমেঘা এখন কতটা mature হয়েছে?
উত্তর- হ্যাঁ, মহাব্রত-অনুমেঘা সত্যিকারের অনেকটা ম্যাচিওর করে গেছে। কারণ আমি যখন রেনবো জেলি করেছিলাম তখন মহাব্রত একটা স্পেশ্যাল স্কুলে পড়ত। তার পরে পাঠভবনে ভর্তি হল৷ আজকে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে৷ এর পর কলেজে যাবে। অনুমেঘাও ক্লাস ১১-এ উঠেছে৷ দু’জনেই বড় হয়েছে৷ অনুমেঘার ক্ষেত্রে অনেক ম্যাচুরিটি এসেছে৷ দারুণ অভিনয় করেছে৷ মহাব্রত সেই সারল্য এখনও আছে। রেনবো জেলি সময় যেমন ওয়ার্কশপ করতে হয়েছিল। এক্ষেত্রে আমরা চার মাস ওয়ার্কশপ করেছি। কারণ মহাব্রতর ওই যে মাঝখানের অভিনয় করেনি তো ওই চর্চা থেকে বেরিয়ে গেছিল। আবারও অভিনয়ের চর্চাটায় ঢোকানোর জন্য আমাদের একই রকম একটা ড্রিল এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু এটা ঘটনা যে ওরা ম্যাচুরিটি হওয়ার দরুণ অনেক বেশি রিসেপটিভ হয়ে গেছে। মানে আগের বার আমাকে ওদের যতটা বোঝাতে হয়েছিল, এবার সেরকম হয়নি৷ সেটা ছবিটা দেখলে বোঝা যাবে। এবারে মহাব্রতর অনুমেঘার, দুজনেরই রোলটা অনেকটা বড় আর অনেক বেশি এবং অনেক রকমের অনেক গ্রাফ রয়েছে। মহাব্রতের ক্ষেত্রে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে, আউটডোরে৷ ফলে সেই ট্রেনিং দিতে হয়েছিল৷ ওর ম্যাচুরিটির জন্য আমি বলব, অনেক সুন্দরভাবে রিসিভ করেছি এই গোটা বিষয়।
প্রশ্ন- অনিবার্ণের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
উত্তর- অনির্বাণের সঙ্গে কাজ করে আমার খুব ভাল লাগল, এটা ওর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ৷ এসভিএফের সঙ্গেও প্রথম কাজ৷ আমি ওদের কাছে আর্জি রেখেছিলাম যে অনির্বাণকেই যেন বলা হয় এই চরিত্রের জন্য৷ কারণ আমি বটব্যালের চরিত্রটা লিখেছিলাম অনির্বাণের কথা ভেবে৷ ভূতপরীতে ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করার পর অনির্বাণের সঙ্গেও কাজ করার ইচ্ছে ছিল৷ পরিচালক হিসেবে এরম অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ মিস করতে চাইনি৷ অনির্বাণের সেন্স অব টাইমিং আর উইট খুব স্ট্রং৷ অনির্বাণ এত ধরনের কাজ করলেও কখনও ছোটদের ছবিতে কাজ করেনি৷ ফলে ওকে অফার করার মতো ভাল চরিত্র বলে আমার মনে হয়েছে৷ এছাড়াও এই ছবিতে ওর দুই বয়সের দুটি চরিত্র রয়েছে৷ ফলে অনির্বাণের কাজও খুব দেখার মতো৷
প্রশ্ন- ছোটদের জন্য আরও স্ক্রিপ্ট কী তৈরি রয়েছে?
উত্তর- হ্যাঁ, আমার গল্প তো আছেই। ছোটদের জন্য আরও করতে চাই। আমি এই ছবিটারও পরের অধ্যায়ে আবার করতে চাই৷ তবে সেটা এখনও ভাবা হয়নি। কিন্তু ছোটদের জন্য আমার আরও গল্প আছে৷ সেটা দেখা যাক কী হয়।
প্রশ্ন- কোথাও কি মনে হয় না গরমের ছুটিতে পক্ষীরাজের ডিম ছবিটি মুক্তি পেলে ভাল হত?
উত্তর– ছবিটা গরমের ছুটিতে রিলিজ করলে ভাল হতো। আবার এখন রিলিজ করাটাও কিন্তু ভাল মানে৷ এটার দুটো সাইডই আছে৷ মানে গরমের ছুটিতে যেমন বাচ্চারা ছবি দেখতে যায় এটাও সত্য আবার গরমের ছুটিতে ঘুরতে যায় সেটাও ঠিক৷ ফলে বেড়াতে গেলে ছবি দেখা হয় না৷ যখন স্কুল খুলে যায় তখন সুবিধা হচ্ছে যদি বাচ্চারা ছবি দেখে পরদিন স্কুলে গিয়ে প্রচুর আলোচনা করে তখন ওয়ার্ড ওফ মাউথে ছবির প্রচার হয়৷ তাতে ছবির প্রচারও বাড়ে বন্ধুদের মধ্যে। আমাদের রেনবো জেলি যখন রিলিজ করে, তার এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুল খুলে যায়। কিন্তু সেটা কিন্তু খুব সমস্যা হয়নি।
পক্ষীরাজের ডিম ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ১৩ই জুন৷
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Interview: ছোটদের ছবি তৈরি করতে চান প্রযোজকরা, তাহেল কেন বেশি হয়না জানি না: সৌকর্য ঘোষাল
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement