‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন পল্লবী ও সায়ক৷ শেষ দিন অবধি তাঁদের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব অটুট ছিল৷ বন্ধুর জন্মদিনে চুটিয়ে আনন্দ করেছিলেন সায়ক৷ তিনি আবার শেয়ার করেছেন পুরনো ভ্লগ৷ ক্যাপশন দিয়েছেন ‘স্মৃতিটুকু থাক’৷ সামাজিক মাধ্যমে সায়কের প্রোফাইল এখন পল্লবীর স্মৃতিময়৷ অনুরাগীরা ব্লগের মন্তব্যবাক্সে লিখেছেন পল্লবীকে তাঁরা ভুলতে পারছেন না৷
advertisement
অনুরাগীদের মনের ক্ষত আরও তীব্র হয়ে উঠছে পল্লবীর শেষ জন্মদিনের ভিডিওটি দেখে৷ হাল্কা পেস্তা রঙের পোশাকে তিনি সেলিব্রেশনের মুডে৷ আনা হয়েছিল বাহারি কেক৷ খোলা চুল সামলে কেক কাটলেন৷ প্রথম টুকরোটা তুলে দিলেন সাগ্নিকের মুখে৷ তার পরই ‘ও মা’ বলে ছুটলেন কেকের টুকরো হাতে৷ একে একে কেক খাইয়ে দিলেন বাবা এবং মাকে৷ তার পরই মায়ের হাতে কেক খাওয়ার আব্দার৷
আরও পড়ুন : ‘হয়তো অধিকার ছাড়াই ইন্টারফেয়ার করতাম...’, ‘বোন’ পল্লবীর জন্য বাকরুদ্ধ সোহিনী
জন্মদিনের পার্টিতে সকলের সামনেই পল্লবীর হাতে উপহার তুলে দিয়ে আলিঙ্গন করে কপালে স্নেহচুম্বন এঁকে দেন সাগ্নিক৷ এর পর চলে খাওয়া দাওয়া আর দেদার আড্ডা৷ পিছনে চলেছে আবহ অনুযায়ী গান৷ কেক কাটার সময় ‘হ্যাপি বার্থডে’ গান, তো তার পরই পুরনো দিনের হিন্দি গান৷ সঙ্গে চলছে বন্ধুদের সঙ্গে হাসি, মজা আর বন্ধুদের সঙ্গে খুনসুটি৷
আরও পড়ুন : সিক্ত শরীরে বিকিনির আলিঙ্গন, অতল জলের আহ্বানে মৎস্যকন্যা কিমের জলকেলির ছবি দেখুন
আরও পড়ুন : ‘‘আমাদের কোনও কথার দরকার নেই...’’ বাহুলগ্না পল্লবীর মুহূর্তরা আজ স্মৃতি
তার পর শুরু উপহার খোলার পর্ব৷ বন্ধুদের উপহারের মোড়ক একে একে খোলেন পল্লবী৷ সবার আগে খোলা হয় সাগ্নিকের দেওয়া উপহারই৷ মোড়ক থেকে বার হয় দামী মোবাইল৷ এ বার সাগ্নিকের কপালে চুম্বন পল্লবীর৷ পাশাপাশি চলে বন্ধুদের সঙ্গে নাচগান৷ ভিডিও দেখে স্পষ্ট, প্রেম বা বন্ধুত্ব নিয়ে পল্লবীর কোনও লুকোচুরি ছিল না৷ বাবা মায়ের সামনেই তিনি সাগ্নিকের সঙ্গে স্বচ্ছন্দ ও খুশি৷ সেই ছবি এত দ্রুত কেন করুণ পরিণতি নিল? উত্তরের অপেক্ষায় পল্লবীর বন্ধুরা৷