পল্লবীর সঙ্গে সাগ্নিকের সম্পর্কের অবনতি ঘটছিল প্রতিদিন। পল্লবীর মা সঙ্গীতা দে, তিনি মেয়ের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে সেই অবনতির কথা জানান। সাগ্নিকের সঙ্গে পল্লবী যে সংসার করতে পারবেন না, সেটা সঙ্গীতা এর আগেও পল্লবীকে বুঝিয়ে ছিলেন। পল্লবী সেটা বুঝতে চাননি।
পল্লবীর দিদি পৌলোমী বোনের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন,'বোন উশৃংক্ষল ছিল। যেটা মনে করত, সেটাই করত। কারও বারণ শুনত না। যার পরিণতি এটাই।' যেখানে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলছে আত্মহত্যা। সেখানে খুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মনে করছেন অনেকেই। এই মামলাটি যে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার চার্জশিট হবে, সেটা আগে থেকেই বলছেন আইনজীবীরা।
advertisement
আরও পড়ুন- 'পল্লবী সেই রাতে থেকে যেতে বলে'! তার পরে কী হয়েছিল, বললেন ঐন্দ্রিলা
যদিও এখনও পর্যন্ত মামলাটি অভিযোগের পর্যায়ে রয়েছে। তবে মামলাটি তদন্তের গতি পেতে চলেছে পল্লবী এবং সাগ্নিকের পরিচারিকা জবানবন্দিতে। পরিচারিকা সেলিমা সর্দার জানান,'দাদা বৌদি প্রায়ই ঝগড়া করত। ঝগড়ার সময়ে দাদা দেয়ালে ঘুসি মারত এবং বৌদি নিজের গালে নিজে চড় মারত আর কাঁদত।'
ওই দুজনের সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় মহিলা ঐন্দ্রিলা। সেই ঐন্দ্রিলা গতকাল সাগ্নিকের সঙ্গে সম্পর্ক ,পরিচিতির কথা অস্বীকার করেছিলেন। তবে সেলিমা বলেছিলেন,'সকালবেলা বৌদি (পল্লবী) ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গেলে। ফ্ল্যাটে ঐন্দ্রিলা এবং সাগ্নিক থাকতো। এছাড়া ঐন্দ্রিলা মাঝে মাঝে আসত, যখন বৌদি থাকত না।' পরিচারিকার এই বয়ানই বিশেষ করে নতুন মোড় এনে দিয়েছে এই ঘটনায়। যদিও ঐন্দ্রিলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।