পল্লবীর ফ্ল্যাটের পরিচারিকা এও জানিয়েছেন যে, অভিনেত্রী শ্যুটিংয়ে বেরিয়ে গেলে আসতেন ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলা যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঐন্দ্রিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "পল্লবীর মৃত্যু সত্যিই বড় ধাক্কা। এত সফল হওয়ার পরেও কীভাবে একটা মেয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ওর সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক ছিল, ভাল কথাবার্তা হতো। ওর থেকে একটা পজিটিভিটি পেতাম। জানি না কী কারণে ও এমন একটা সিদ্ধান্ত নিল।"
advertisement
পল্লবী ও সাগ্নিকের সম্পর্ক নিয়ে ঐন্দ্রিলা বলছেন, "ওদের সম্পর্কে অশান্তি লেগেই থাকত। কিন্তু আবার দেখতাম, মিল হয়ে যেত। একসঙ্গেই থাকত, বেরোতো। ওদের পরিবার যখন মেনে নিয়েছিল তখন একজন তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে আমার কিছু বলা সাজে না।"
ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন, পল্লবীর ফ্ল্যাটে তিনি একবারই গিয়েছিলেন। সেই রাতে সাগ্নিকের রক্ত বমি হয়। পরের দিন সকালেই পল্লবীর কলটাইম ছিল। তাই পল্লবী তাঁকে সেই রাতে থেকে যেতে বলেন। আরও দুই বন্ধু ছিল। ওরাও অফিসের জন্য বেরিয়ে যায়। এর পরে কাজের দিদি আসেন। ঐন্দ্রিলা জানান, ওই দিনের কথাই কাজের দিদি বলেছেন।
আরও পড়ুন- সৌমীও আত্মঘাতী সাগ্নিকের জন্য! পল্লবীর মৃত্যু দেখে কী বলছেন সৌমীর মা-বাবা
ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন সাগ্নিকের গ্রেফতারি সম্পর্কে তাঁর কিছু বলার নেই। পাশাপাশি তাঁর কথায়, "পুলিশি তদন্তে ১০০ শতাংশ সাহায্য করবো। যেটুকু পল্লবীকে আমি কাছ থেকে দেখেছি সব বলব। তার বাইরে যেগুলি মিথ্যে আমি বলব না।"
এর আগে ২০১৪ সালে সাগ্নিকের আরও এক প্রাক্তন সৌমীও নাকি আত্মঘাতী হয়েছিলেন। সৌমীর পরিবারের দাবি, এই সাগ্নিকের জন্যই তাঁদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এই ঘটনায়ও সাগ্নিকের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ঐন্দ্রিলারও। সৌমীর মার দাবি, সাগ্নিকের সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক ঐন্দ্রিলার। তাঁর মেয়ের জন্যও এরা দুজনেই দায়ী।
এই বিষয়ে ঐন্দ্রিলা বলছেন, "সাগ্নিককে আমি বহু বছর ধরেই চিনি। ১১ বছর ধরে পরস্পরের পরিবারকে চিনি। সৌমী যেদিন আত্মঘাতী হয়, খবরটা পেয়ে আমায় সাগ্নিক নিয়ে যায়। আমি সৌমীকে চিনতাম না সরাসরি।"