উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরায় এসে তাঁরা আশ্রয় পান পুনীরাম নেতৃত্বাধীন এক আদিবাসী গ্রামে। ধীরে ধীরে নীমাই স্থানীয় শিশুদের পড়ানো শুরু করেন এবং পরিবার নতুন জীবনে খাপ খাইয়ে নিতে থাকে। এদিকে নীমাইয়ের ছেলে অতুল, পুনীরামের কন্যা ফুলমতিকে ভালোবেসে বিয়ে করে, যা দুই সম্প্রদায়ের সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। এরই মাঝে, পূর্ব পাকিস্তান থেকে ক্রমাগত শরণার্থী আগমনে স্থানীয় আদিবাসীরা জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কিছু বিপথগামী যুবকের হিংস্রতায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বাড়তে থাকে বিভাজন ও সংঘাত।
advertisement
এক সময় ভাগ্যের অপ্রত্যাশিত মোড়ে, অসীমার সঙ্গে পরিবারের পুনর্মিলন ঘটে—যে এখন বাংলাদেশে “অসীমা বেগম” নামে পরিচিত। কিন্তু এই পুনর্মিলনও আনন্দের নয়, বরং আত্মপরিচয়ের দ্বন্দ্বে এক গভীর মানসিক ট্র্যাজেডির জন্ম দেয়। অভিবাসী ও আদিবাসীদের মধ্যে সংঘাত ক্রমেই রক্তাক্ত পরিণতি নেয়। একাধিক শোকাবহ ঘটনার মধ্য দিয়ে ভেঙে পড়ে নীমাইয়ের সংসার, আর শেষে তিনি আবারও এক অনিশ্চিত পথে যাত্রা করেন—নতুন আশ্রয়ের সন্ধানে।
ছবিটি প্রযোজনা করছে পূর্ব দিগন্ত ফিল্ম প্রোডাকশন, প্রযোজক অনিল দেবনাথ। ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় রয়েছেন অমিত চ্যাটার্জি, চিত্রগ্রাহক জায়েস নায়ার। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শান, ইমন চক্রবর্তী, মেখ্লা দাসগুপ্ত ও ইকশিতা প্রমুখ। খুব শীঘ্রই “পরবাসী” বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে—এক অনবদ্য মানবিক গল্প, ইতিহাস ও আবেগের মেলবন্ধনে। ছবিটি ৩১তম কলকাতা চলচিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা মূলক বিভাগে মনোনীত হয়েছে। ৭ই নভেম্বর নন্দন, ৯ই নভেম্বর ষ্টার থিয়েটার (বিনোদিনী) ও ১০ই নভেম্বর মেট্রো সিনেমা হলে ছবিটি প্রদর্শীত হবে।
