গল্পের নায়িকা পর্ণা চায় শ্বশুরবাড়ির অচলায়তন ভেঙে কর্মরতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। তাও আবার সাধারণ কোনও চাকরি নয়। পর্ণা সফল সাংবাদিক হতে চায়। তার লড়াইয়ের সঙ্গে একাত্ম হতে পারছেন এই প্রজন্মের মেয়েরা। মধ্যবিত্ত বাড়ির খুঁটিনাটিতে নিজেদের জীবন খুঁজে পাচ্ছেন দর্শকরা। গল্পে গরু গাছে ওঠেনি বলেও মত তাঁদের।
ঘরে বাইরে লড়াইয়ে পর্ণা নিজের স্বামী সৃজনকে পেতে চায়। স্ত্রীর স্বপ্নপূরণে শামিল হতে চায় সৃজনও। কিন্তু মাঝপথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সৃজনের মায়ের অতিরিক্ত অধিকারবোধ। সৃজনের মা বা পর্ণার শ্বাশুড়ি চান না তাঁর বাবু কোনওভাবেই স্ত্রীর পাশে থাকুক। এই টানাপড়েনেই এগিয়ে চলে গল্প।
advertisement
আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রনাথ সমারোহে হাজির লন্ডন, বাংলাদেশ, কলকাতার শিল্পীরা
পর্ণার চাকরি করা তার শ্বাশুড়ির একদমই না-পসন্দ। প্রতি পদে সে বাধা তৈরি করে, যাতে পুত্রবধূ চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু পেরে ওঠে না কারণ যৌথ পরিবারের কয়েক জন সদস্যের সমর্থন আছে পর্ণার সিদ্ধান্তে। এ বার পর্ণা এবং তার শাশুড়ির নতুন দ্বন্দ্ব নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রোমো। প্রোমোতে দেখানো হয়েছে পর্ণা জমিয়ে রাখা চুলের গোছা ফেলে দিয়েছে। তাই তার উপর শাশুড়ি খুব রেগে গিয়েছে। কারণ ওই চুল বিক্রি করে তার দুটো বালতি, একটা গামলা হয়ে যেত।
শুনে পর্ণা তখনই বালতি, গামলা কিনতে যেতে চায় দোকানে। কিন্তু সে প্রস্তাব তখনই নাকচ। কর্মরতা বলে টাকার গরম দেখানো! শাশুড়ি ধমক দিয়ে বলে, তার চুল চাই, চুল। পর্ণাও ছেড়ে দেওয়ার বান্দা নয়। যেমন বুনো ওল, সেরকমই বাঘা তেঁতুল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে সে সোজা চলে গেল পাড়ার নাপিতের কাছে। রাস্তার ধারে বসে পড়ল তার ক্ষুরের সামনে। বলল, ন্যাড়া করে দিতে। শাশুড়িকে চুল দিতে সে ন্যাড়া হবে। সেই চুল দিয়ে কেনা হবে বালতি ও গামলা।
এখানেই শেষ প্রোমো। এবং দর্শকদের অপেক্ষার প্রহর শুরু। প্রোমো দেখে দর্শকদের মত, যেমন শাশুড়ি, তেমনই বউ। অনেকে আবার তুলে এনেছে ঘটি বাঙাল দ্বন্দ্বও। তাদের প্রশ্ন, ঘটি শাশুড়িরা কি এরকমই কিপটে হয়? তবে মন্তব্যে আছে রসিকতার ছোঁয়াও। কোনও কোনও নেটিজেনের মত, এ আসলে আক্ষরিক অর্থেই শাশুড়ি-বউ-এর চুলোচুলির ছবি।