advertisement
বৃহস্পতিবার সকালে ঘুমের মধ্যেই প্রয়াত হন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত (Buddhdadeb Dasgupta) ৷ বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর ৷ দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় অসুস্থ ছিলেন ৷ ডায়ালিসিস চলছিল ৷ সেইসঙ্গে ছিল বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যাও ৷ তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিনোদন জগতের অসংখ্য তারকা সামাজিক মাধ্যমে শোকপ্রকাশ করে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন কবি-পরিচালকের প্রতি ৷
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর জন্ম ১৯৪৪ সালে, পুরুলিয়ার আনারায় ৷ ভারতীয় রেলবিভাগে বাবার কর্মসূত্রে তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দেশের বিভিন্ন রেলশহরে ৷ পরবর্তীতে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ কর্মজীবনের সূত্রপাত অধ্যাপনায় ৷ তবে বেশি দিন সেই চাকরিতে মন বসেনি ৷ বরং, ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটির সংস্পর্শে আকৃষ্ট হয়েছিলেন চলচ্চিত্রে ৷
পরিচালনায় হাতেখড়ি ১৯৬৮ সালে, ‘কন্টিনেন্ট অব লভ’ দিয়ে ৷ পূর্ণাঙ্গ ছবি আরও এক দশক পর ৷ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘দূরত্ব’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৮-এ ৷ এর পর ‘নিম অন্নপূর্ণা’, ‘গৃহযুদ্ধ’, ‘অন্ধি গলি’, ‘ফেরা’, ‘বাঘ বাহাদুর’, ‘তাহাদের কথা’, ‘চরাচর’, ‘লাল দরজা’, ‘উত্তরা’, ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’, ‘স্বপ্নের দিন’, ‘আমি ইয়াসমিন আর আমার মধুমালা’, ‘কালপুরুষ’, ‘আনওয়ার কা আজব কিস্যা’—একের পর এক পালক যোগ হয়েছে তাঁর শিরোপায় ৷ ছবির সমান্তরালে চলেছে তথ্যচিত্রের কাজও ৷
সেলুলয়েডের পাশাপাশি কবিতা লিখতেন কাগজ-কলমেও ৷ কবি সত্ত্বাকে যাপন করতে করতেই উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কাব্য অলঙ্কার ৷ তাঁর ‘হিমযোগ’, ‘ছাতাকাহিনি’, ‘রোবটের গান’ আছে পাঠকের হৃদমাঝারে ৷ তাঁর ইচ্ছে ছিল জীবনানন্দ দাশ বা তাঁর নিজের কবিতা চলচ্চিত্রায়িত করবেন ৷ সেই স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই পাড়ি দিলেন না ফেরার দিকশূন্যপুরে ৷