যে শিল্পীর আলো পেতে মুখিয়ে থাকে সারা জগৎ, হৈমন্তীর কাছে তিনি ঘরের মানুষ। প্রাণের মানুষ। কঠিন রোগের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই। তার পর রোদ ঝলমলে এক শীতের দুপুরে হঠাৎ চলে যাওয়া। রাশিদ যে সত্যিই আর নেই, তা মানতে পারছেন না হৈমন্তী। নিউজ18 বাংলার সঙ্গে কথোপকথনে তাঁর গলায় ক্লান্তি স্পষ্ট। তিনি বললেন, “আমি আর কিছুর বলার অবস্থায় নেই আজ। রাশিদ আমার ভাই ছিল। ভাইফোঁটা দিতাম ওকে। শেষবার দেখাটুকুও হল না।” কোনও রকম এটুকু বলেই থামলেন হৈমন্তী।
advertisement
রাশিদ অসুস্থ থাকাকালীন তাঁকে দেখে যেতে পারেননি হৈমন্তী। সেই আক্ষেপ ভুলতে পারছেন গায়িকা। ভেঙে পড়েছেন ভাইয়ের প্রয়ানের খবরে। পুরনো দিনগুলোই যেন চোখের সামনে ছবির মতো স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: সঙ্গীত জগতে ইন্দ্রপতন! পৃথিবী ছেড়ে অন্য সুরলোকে উস্তাদ রাশিদ খান, ৫৫-তেই সব শেষ
আরও পড়ুন: সারারাত পিস ওয়ার্ল্ড থাকবে উস্তাদ রাশিদ খানের মরদেহ, বুধে নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে
বিগত বেশ কিছু দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। গত কয়েক বছর ধরেই প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি৷ চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন৷ কিন্তু তারই মধ্যে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন সঙ্গীত শিল্পী৷ মঙ্গলবার তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। তখনই তড়িঘড়ি ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে৷ অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত সঙ্গীত তথা বিনোদন জগৎ।