প্রথমেই বলতে হয় অভিনয়ে প্রত্যেকেই অনবদ্য৷ কিন্ডারগার্টেন যাওয়া শুভ এবং মাত্র পাঁচ মাসের সুচিকে (ছবিতে রানির দুই সন্তান) দশমাস ধরে দেখার পর দেবিকা চ্যাটার্জির কাছ থেকে তুলে নিয়ে যায় ভেলফ্রেড৷ অন্যদিকে, দেবিকার স্বামী অনিরুদ্ধ (ছবিতে অনির্বানের চরিত্র) অয়েলওয়েল-এএস-এ চাকুরিরত৷ তাই, তিনি নিজের নরওয়ের নাগরিকত্ব এবং সে দেশের অধিবাসী হিসেবে নিজের সঠিক ভাবমূর্তি বজায় রাখা নিয়েই বেশি চিন্তিত৷ বেশিরভাগ সময় কাজেই ব্যস্ত থাকেন অনিরুদ্ধ, অন্যদিকে বাড়ির সবদিক সামলান দেবিকা৷ ৷ সকালে মেয়েকে খাওয়ানো থেকে শুরু করে ছেলের প্রজেক্টে তাকে সাহায্য করা, আর পাঁচজন সাধারণ গৃহিনীর মতো সন্তানদের নিয়েই তাঁর জগৎ৷ এই জগতের মাঝেই ঢুকে পড়ে ভেলফ্রেড৷ প্রতিদিন সিয়া আর মাতিলদা আসে তাদের জীবনযাত্রার উপর নজর রাখতে৷ সন্তানদের ঠিক কেমন পরিচর্যা করেন মিসেস চ্যাটার্জি তা নজরে রাখে নরওয়ে প্রসাশন৷ এবং তারপর একদিন তাঁরা ঘোষণা করে যে, চ্যাটার্জি পরিবার তাদের সন্তানদের ঠিকঠাক দেখভাল করে না৷ দুই দুধের শিশুকে মায়ের কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নিয়ে যায় তারা৷ দেবিকাকে 'মানসিকভাবে অস্থির' এবং ‘ আনপ্রেডিক্টেবল’ অর্থাৎ‘ অনিশ্চিত’ ঘোষণা করা হয়৷ এখান থেকেই শুরু হয় আইনের বেড়াজালের সঙ্গে মায়ের মমতার লড়াই৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে এ কী ঘটে গেল মালাইকার সঙ্গে! পুরুষ ভক্তের কাণ্ড দেখে সবাই হতবাক
আরও পড়ুন: মিসেস চ্যাটার্জি হয়ে প্রবল গর্জন! রানিকে 'বাংলার বাঘিনী' আখ্যা রেখার!
মায়ের যন্ত্রণাকে সেলুলয়েডের পর্দায় ফুটিয়ে তোলা প্রায় অসম্ভব৷ অসীমা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, ছবির প্রথম দৃশ্যই আপনার মন ছুঁয়ে যাবে৷ তবে, গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে কোথাও গিয়ে আবেগের দৃশ্যগুলিকে যেন কাল্পনিক মনে হয়৷ কখনও কখনও একটু বিরক্তিকরও মনে হতে পারে৷ কিছু দৃশ্য যেন জোর করে দর্শকের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাস্তবের রোমহর্ষক এক ঘটনা থেকে উদ্বুদ্ধ, সঙ্গে রানি মুখোপাধ্যায় অনির্বান ভট্টাচার্যের মতো সেরা অভিনেতাদের উপস্থিতিতে এই সিনেমা যতটা সুন্দর হতে পারত ঠিক ততটা হয়নি৷