TRENDING:

‘প্রতি বছর আমি তরুণ হয়ে উঠি’, আত্মজীবনীতে ঠিক এমনটিই লিখেছিলেন মৃণাল সেন

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: বাংলা ছবিতে তৈরি হয়েছিল তিনটে ঘরানা ৷ একটা সত্যজিৎ, আরেকটা ঋত্বিক ও তিন নম্বর মৃণাল সেন ৷ এই তিন পরিচালকের ছবি তৈরির ঘরানার মধ্যে তফাৎ অনেকটাই ৷ কেউ পর্দায় বাস্তবকে তুলে নিয়ে আসতেন, সাহিত্যের থেকে ধার করে, নন্দন তত্ত্বের ওপর ভর করে ৷ যেখানে ছবি অনেকটাই ম্যাজিকাল ৷ কেউ আবার ছবির পর্দায় গল্পের মাধ্যমে অনবরত সমালোচনা করেই চলতেই সমাজের ৷ প্রথমটা যদি সত্যজিৎ রায় হন, তাহলে দ্বিতীয়টা অবশ্যই ঋত্বিক ঘটক ৷ তবে এই দুই পরিচালকের থেকে অনেকটা দূরে থেকেই সিনেমাকে অন্যভাবে দেখেছেন পরিচালক মৃণাল সেন ৷ কখনও কঠোর বাস্তব, তো কখনও মানুষের মনের থেকে স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নকে নিংড়ে নিয়ে এসে পর্দায় তৈরি করতেন এক অদ্ভুত ছবি ৷ আর তাই হয়তো, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটকের পাশাপাশি সিনেমার পর্দার নিজের আলাদা ‘অটিয়োর’ তৈরি করেছিলেন মৃণাল সেন ৷
advertisement

১৪ মে, আজ প্রয়াত প্রবাদপ্রতিম পরিচালক মৃণাল সেনের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী ৷ মৃণাল সেন জন্মদিন সম্পর্কে তাঁর অটোবায়োগ্রাফিতে লিখেছিলেন, ‘I am one year younger than what I’ll be in next year’ ! ১৯২৩ সালে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্ম হয় মৃণাল সেনের ৷ তবে পড়াশুনো, প্রথম চাকরি সবই কলকাতায় ৷ জীবিকা শুরু করেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটিটিভ হিসেবেই ৷ তবে ছাত্র জীবন থেকেই কমিউনিজম, গণ্যনাট্যের সঙ্গে পরিচয় তাঁর ৷ মৃণাল সেন তাঁর আত্মজীবনী তে বার বারই বলেছেন, এই গণনাট্যই তাকে ছবি করতে বার বার অনুপ্রাণিত করেছে ৷ মৃণাল সেনের কথায়, গণনাট্যের জন্যই দেশের মাটিকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন ৷ গ্রামগঞ্জের ভিতরে ঢুকে আসল জীবনকে দেখেছেন ৷ দেখেছেন মানুষের লড়াইকে ৷ আর এই অভিজ্ঞতাই তাঁর ছবি তৈরির অন্যতম উপাদান ৷

advertisement

১৯৫৫ সালে মৃণাল সেন তৈরি করেন প্রথম ছবি ‘রাতভোর’ ৷ মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি ৷ ফিল্ম সমালোচকরাও খুব একটা ভালো চোখে দেখেননি এই ছবিকে৷ তবে এই অসফলতায় আটকে থাকেননি মৃণাল ৷ এরপরই তৈরি করেন ‘নীল আকাশের নিচে’ ৷ এই ছবি শুধু সাফল্য নয়, সত্যজিৎ ও ঋত্বিকের পাশাপাশি বাংলায় যে মৃণাল সেন আছেন তারও এক আভাস দিতে স্বচেষ্ট হয় ৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

এরপর একে একে ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘ভুবন সোম’, ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘খারিজ’, ‘ইন্টারভিউ’, ‘ক্যালকাটা ৭১’, ‘পদাতিক’ ৷ এতদিনে তিনি বাংলা সিনেমায় নতুন ধারা শুরু করে ফেলেছেন ৷ তৈরি করেছেন ‘মৃগয়া’, ‘মহাপৃথিবী’, ‘অন্তরীণ’ ৷ ২০০২ সালে মুক্তি পায় তাঁর তৈরি শেষ ছবি ‘আমার ভুবন’ !

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
‘প্রতি বছর আমি তরুণ হয়ে উঠি’, আত্মজীবনীতে ঠিক এমনটিই লিখেছিলেন মৃণাল সেন