ধারাবাহিকের সেটের মেকআপ রুমে তুনিশার মৃতদেহ মেলে। শনিবার ভাসাইয়ের ধারাবাহিকের সেট থেকে উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করা হয়, আত্মঘাতী হয়েছিলেন তিনি। এরই মাঝে তুনিশার মা মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন অভিনেত্রীর প্রাক্তন প্রেমিক সিজানকে। কিন্তু বিচ্ছেদের ১৫ দিন পরেও শনিবার তাঁরা একসঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছেন। তার পরেই এই ঘটনা ঘটে।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা ওয়ালকারের পরিণতি দেখেই সম্পর্কে ছেদ? তুনিশাকাণ্ডে বিস্ফোরক প্রেমিক সিজান
এরই মাঝে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তুনিশার বান্ধবী রায়া লাবিব সিজানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি তোলেন। রায়ার কথায়, ''সিজান একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছে। কিন্তু কাউকেই মন থেকে ভালবাসে না সে। যৌন সঙ্গমের জন্য মহিলাদের ব্যবহার করে। তুনিশার সঙ্গেও তাই করেছে। যৌন সুখের জন্য সম্পর্কে জড়িয়েছে। তার পর মন ভরে যেতে ছেড়েও দিয়েছে ওকে। কয়েক দিন আগে বিউটি পার্লারে দেখা হয়েছিল তুনিশার সঙ্গে। মুখ দেখে মনে হচ্ছিল, খুবই মন খারাপ এবং দুশ্চিন্তায় রয়েছে সে।''
আরও পড়ুন: নায়িকার আকস্মিক মৃত্যু! সেটে সিজান-তুনিশার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বড় তথ্য ফাঁস বিনীতের
রায়ার দাবি, একইসঙ্গে ৬-৭জন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে থাকেন সিজান। তিনি এই তথ্য জানতে পারেন আরও এক মহিলার কাছ থেকে। যে মহিলা নাকি সিজানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, কিন্তু তুনিশার কথা জানতে পেরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যান।
তুনিশার দেহকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, গলায় ফাঁস লেগে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার ওয়াশরুম গিয়েছিলেন তুনিশা। দীর্ঘ সময়ের জন্য সেখান থেকে ফেরেননি তিনি। এর পর দরজা খুলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে তাঁর প্রেমিক সিজান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেদিনই গ্রেফতার করা হয় সিজানকে। আপাতত চার দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে তাঁকে।
মঙ্গলবার মুম্বইয়ে তাঁর শেষকৃত্য হয়েছে। সোমবার রাতেই অভিনেত্রীর মরদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।