আরও পড়ুন: দর্শকের জন্য দারুণ সুখবর! অফস্ক্রিনের পর প্রথমবার সিনেমায় দেখা যাবে এই জুটিকে
অনেক ওঠানামার পর সাতপাক ঘুরতে পেরেছে লালন-ফুলঝুরি। বাড়ির ছেলের বিয়ে নিয়ে মাতামাতি পরিবারের মধ্যেও। লালনের জীবনে চড়ুই এখন অতীত। বর্তমান কেবলই ফুলঝুরি। এর আগেও দু'বার এরা বিয়ের মণ্ডপে বসেছে। কিন্তু শেষটা তাদের মন মতো হয়নি কোনও বারই। কথায় বলে, বার বার তিন বার। সেই তিন নম্বর বারে বিয়ে সম্পন্ন হল। সংসার পাতার সুযোগ মিলল। এখন চলছে বিয়ে পরবর্তী নিয়ম নীতি। ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করল খোদ অঙ্কুর। যে কিনা নিজে ফুলঝুরিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। তার পর ফুলঝুরির সঙ্গে লালনের মিলনে ঘটকের কাজও করল সে-ই। মনে কষ্ট থাকলেও মুখে হাসি নিয়ে সমস্ত অনুষ্ঠানে মেতে উঠেছেন তিনি। যদিও চড়ুইয়ের মুখে হাসি নেই। সে কেবল ভোল পাল্টেছে নতুন ফন্দির জন্য। মনে মনে তাই ফুলঝুরিকে সে বলে, ''আমিও এমন একটা ছেলেকে বিয়ে করব, যাকে দেখলে তোমার চোখ তাতাবে।''
advertisement
আরও পড়ুন: পুরুষ বন্ধুকে বাড়িতে ডাকা নিষিদ্ধ? সুস্মিতার 'কাণ্ড'-এ অবাক নন 'উড়ন তুবড়ি'
প্রোমোতে দেখা গিয়েছে, বিয়ের রাতে খুনসুটি করার জন্য সকলের সঙ্গে হাজির হয়েছে অঙ্কুরও। তবে বরের সঙ্গে খুনসুটিতে সকলকে হার মানালেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, ফুলঝুরির দিদা। বর অধীর আগ্রহে নিজের বউকে দেখার জন্য অপেক্ষা করে চলেছে। এ দিকে কিনা দিদা বলে, ''এই তো আমি এসে গিয়েছি। আমিই তো তোমার বউ।'' দিদা তার নাতজামাইকে একটু আদর করে দিয়ে বলল, ''এত ভালবাসলাম, তবু পছন্দ হল না।'' তার পরে অঙ্কুরই নিয়ে এল লালনের স্ত্রীকে। ফুলঝুরিকে দেখেই লজ্জার হাসি লালনের মুখে। মাথা নীচু করে লজ্জায় রাঙা হল ফুলঝুরিও। এমনই ভাবে হেসেখেলে প্রেমমাখা সংসার শুরু করবে লালন-ফুলঝুরি? নাকি আবারও জটিলতায় ভরে উঠবে তাদের জীবন?
আপাতত তো সুখের আভাসই মিলেছে। গানের সূত্রে বাঁধা পড়েছে লালন-ফুলঝুরি।