তবে অনুরাগীদের মত, পুরনো লেখা হলেও গুচ্ছাকারে লেখা পড়ার যেমন মজা আছে তেমনই নতুন লেখাদের পড়ার মজাও অনেক বেশি। নিজের অ্যালবাম, সিনেমার গানের ব্যস্ততায় সময় করে উঠতে পারেননি অনুপম। অগত্যা পুরনো লেখাই বই আকারে বাড়িয়ে দিল হাত। তবে অনুপম রায় জানালেন ‘‘লেখারা জমছে।’’ অর্থাৎ বলা যেতে পারে এ বছর না হলেও নতুন লেখারা আসবে পরের বইমেলায়।
advertisement
অনুপমের ভক্ত শ্রেয়া মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনুপম রায় মানেই গায়ক সুরকার ও লেখক। প্রতি বছর পুজো বা নববর্ষে দাদার থেকে নতুন গানের আর বইমেলায় আশা থাকে দাদার নতুন বইয়ের। সেই বই-এ খুঁজি দাদা নতুন কী লিখলেন?’’ আর এক অনুরাগী ভোলানাথ সাউ বলেন, ‘‘আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই মানুষটা পরিচিতি পেয়েছেন গীতিকার-সুরকার, সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। কিন্তু তিনিই আবার লেখক হিসেবে ধরা দিয়েছেন আমাদের কাছে। ‘ছোঁয়াচে কলম’, ‘মন ও মেজাজ’, ‘আমাদের বেঁচে থাকা’,’অনুপম কথা’, ‘অ্যান্টনি ও চন্দ্রবিন্দু’ ইত্যাদি বইগুলি পড়ে কত রাত কেটে গেছে। মনের ভেতর তুলোর মতো নরম একটা শান্তি পেয়েছি লেখাগুলো পড়ে। তবে এই বছর বইমেলায় তিনি নতুন কিছু না লিখলেও পুরনো লেখা দিয়েই যে বইটা উপহার দিয়েছেন আমাদের তাতেই আমি আপ্লুত। কিন্তু এতে নতুন লেখা না পাওয়ার কষ্ট কমল না।’’
(ছবি: ফেসবুক)
আরও পড়ুন : প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই মন্দির যেন আধ্যাত্মিকতা ও পর্যটনের মেলবন্ধন! জানুন ইতিহাস
অনুপম-অনুরাগিণী শ্রাবণী মণ্ডলের কথায়, ‘‘ঠিক যেমন অনুপম রায় মানে প্রতি বছর পুজোয় অপেক্ষা নতুন গানের, তেমনই বইমেলায় অপেক্ষা নতুন কবিতা, গল্পের । শব্দকে সুতোয় গেঁথে যে সুন্দর গান, কবিতা, গল্পের মালা দাদার থেকে উপহার পাওয়া গিয়েছে, তা ভোলার নয় । তবে মনে হচ্ছে বইমেলায় নিজেকে অনুপম রায়ের নতুন লেখা পেলে ভাল হত।’’