কিশোর কুমারের জন্ম হয়েছিল ১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট, ঠিক বিকেল ৪ টের সময়। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান। সব থেকে বড় ছিলেন অশোক কুমার, তারপর দিদি সীতাদেবী, এরপর আর এক দাদা অনুপ কুমার এবং চতুর্থ ছিলেন তিনি। তবে ছোটবেলায় তাঁর নাম ছিল আভাস কুমার গাঙ্গুলি। বাংলা সিনেমা থেকে বলিউডে রাজ করেছিল কিশোর কুমারের কণ্ঠ। আজও কিশোরের গলার ভক্ত লক্ষ লক্ষ শ্রোতা।
advertisement
আরও পড়ুন: একদিনে ৩, অগাস্টের তিনদিনে ৮! বজ্রাঘাতে পর পর মৃত্যু চিন্তা বাড়াচ্ছে
এমনই এক কিংবদন্তী শিল্পী নাকি স্টেজে উঠে প্রথম প্রথম অনুষ্ঠান করতে ভয় পেতেন। কিশোরের সেই ভয় কাটিয়েছিলেন স্বয়ং আর ডি বর্মণ। শোনা যায়, একবার খোলা মঞ্চে গান গাওয়ার জন্য ডাক পড়েছে কিশোর কুমারের। সঙ্গে রয়েছেন পঞ্চমদা অর্থাৎ রাহুল দেব বর্মণ, লতা মঙ্গেশকর। এমন সব তারকাদের মঞ্চে দেখতে শ্রোতাদের ভিড় উপচে পড়ছে। সেই সময় কিশোর কুমারকে মঞ্চে ডাকা হয়েছে, স্টেজে উঠেই অত লোক দেখে ভয়ে আবার পর্দার আড়ালে চলে গিয়েছিলেন কিশোর কুমার।
আরও পড়ুন: অর্পিতাকে মনে হয় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে: রাকেশ
কিশোরের পরিস্থিতি দেখে এগিয়ে যান উপস্থিত পঞ্চমদা। তিনি তৎক্ষণাৎ কিশোর কুমারকে খপ করে ধরে ফেললেন। শোনা যায়, পঞ্চমদা ধরে না ফেললে তখনই পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কিশোর কুমার। কিশোরকে শান্ত করতে পঞ্চমদা বলেন, 'আরে ভয় কেন পাচ্ছ? দর্শকাসনে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা কি কেউ লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁশলে, এস ডি বর্মন, কিশোর কুমার?' কিশোর ভাবলেন, সত্যিই তো! ওঁরা তো কেউ লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁশলে, এস ডি বর্মন নন। তবে কীসের ভয়? ভয়কে জয় করে চলে গেলেন স্টেজে। গান গাইতে উঠে পঞ্চমদার বলা এই কথাটিই নাকি পরবর্তীকালে অনুপ্রেরণা দিত কিশোর কুমারকে। আর বাকিটা ইতিহাস।