পৃথ্বীরাজ কাপুর এবং রেশমি মেহরার কন্যাটির নাম হল উর্মিলা সিয়াল কাপুর (Urmila Sial Kapoor)। ১৯৩৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাঁর জন্ম। রাজ কাপুর এবং শাম্মি কাপুরের থেকে ছোট তিনি। তবে শশী কাপুরের থেকে বয়সে বড়। এক সময় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি আরউইন কলেজের ছাত্রী ছিলেন উর্মিলা।
advertisement
শোনা যায়, রাজ কাপুর এবং তাঁর ভাইরা একমাত্র বোনের সঙ্গে খুবই খুনসুটি করতেন। তবে কাপুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো তাঁর গায়ের রঙ একেবারেই টকটকে ফর্সা ছিল না। বরং উর্মিলার গায়ের রঙ ছিল শ্যামলা। আর সেই কারণে তাঁর পিছনে লাগতেন দাদারা।
কাপুর পরিবারের ওয়েবসাইট জংলি থেকে জানা যাচ্ছে যে, একবার উর্মিলা বলেছিলেন যে, “আমার গায়ের রঙ একটু শ্যামলা ছিল। তাই আমার দাদারা আর ভাই আমার পিছনে লাগত। বলত যে, আমি ওদের আসল বোন নই। মা-বাবা আমায় দত্তক নিয়েছে। কারণ ওদের কোনও বোন হয়নি। কিন্তু তারপরে আমায় বোঝাত যে, আমি সমস্ত কাপুরদের মধ্যে সেরা।”
সেই সময় কাপুর পরিবারের কন্যাদের রুপোলি দুনিয়ায় আসার অনুমতি ছিল না। সেই কারণেই অভিনয় জগতে আসেননি উর্মিলা সিয়াল কাপুর। বরং অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু কাপুররা অত্যন্ত ধনী পরিবারে নিজেদের কন্যার বিয়ে দিয়েছিল। আর উর্মিলার স্বামীর নাম ছিল চিরঞ্জিত সিয়াল। নাগপুরের কয়লা খনির মালিক ছিল সিয়াল পরিবার। উর্মিলা আর চিরঞ্জিতের কোল আলো করে আসে তিন কন্যা অনুরাধা, প্রীতি, নমিতা এবং এক পুত্র যতীন সিয়াল।
Photo: junglee/jatinprithvirajkapoor)
উর্মিলা সিয়াল কাপুরের ৬০-তম জন্মদিনটা বেশ ধুমধাম রপেই পালিত হয়েছিল। কিন্তু তার পরের দিনই জীবনে কোন দুর্যোগ নেমে আসতে চলেছে, সেটা স্বপ্নেও আঁচ করতে পারেননি কেউই। আসলে উর্মিলার জন্মদিনের পরের দিনই অর্থাৎ ১৯৯৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মৃত্যু হয়েছিল তাঁর স্বামীর। এরপর ২০০১ সালের ২৫ জুলাই মাত্র ৬৭ বছর বয়সে প্রয়াত হন উর্মিলা।
নিজে অভিনয় না করলেও তাঁর পুত্র যতীন অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছেন। একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। ঋষি কাপুর পরিচালিত ‘আ অব লওট চলে’ ছবিতে অভিনয় করেছেন যতীন। আবার শাহিদ কাপুরের ‘বিবাহ’ ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর পাশাপাশি একাধিক টিভি শো এবং ওটিটি-তে চুটিয়ে কাজ করেছেন। ‘আহট’, ‘সাঁস’, ‘সঞ্জীবনী’, ‘তশন-এ-ইশক’-এর মতো টেলি-ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন যতীন।