গত মাসে পাশ হওয়া মহিলা সংরক্ষণ বিলের অনুমোদন হিসেবে দশেরায় লব কুশ রামলীলায় রাবণ দহন অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কঙ্গনা রানাউতকে। দিদি রঙ্গোলি চান্ডেলকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনাও।
আরও পড়ুন: বরণ শেষে সিঁদুর খেলায় ইনি ছিলেন দিতিপ্রিয়ার সঙ্গী! রইল ছবি
advertisement
উজ্জ্বল লাল রঙের ট্র্যাডিশনাল শাড়ি পরেছিলেন অভিনেত্রী, আঁটোসাঁটো করে বাঁধা খোঁপা। চিরাচরিত সাজে ধরা দেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে দেখা যায়, কঙ্গনা হাতে বিশালাকার তির-ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর আশপাশের সকলেই তাঁকে কীভাবে তা নিক্ষেপ করতে হবে, সেটাই শেখাচ্ছিলেন। তবে ৩ বার অভিনেত্রী তির নিক্ষেপ করার চেষ্টা করেও, ব্যর্থ হন। যদিও এতে একেবারেই দমে যাননি তিনি। পরে লব কুশ রামলীলা কমিটির এক সদস্য কঙ্গনাকে তির নিক্ষেপ করতে সাহায্য করেন।
আরও পড়ুন: এক ছাতার নীচে ভালবাসায় রাঙা মোহর-দুর্নিবার! বৃষ্টি সঙ্গে নিয়েই চলল সিঁদুর খেলা
অনেকেই অভিনেত্রীর বেশ প্রশংসাই করেছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে ট্রোলিং করতেও ছাড়েনি অধিকাংশ মানুষই। এক নেটিজেনের বক্তব্য, “এটা আবার আমায় বিব্রতকর অবস্থায় ফেলল।” আর এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী আবার লিখেছেন, “বলিউডের স্টান্ট/অ্যাকশন ক্যুইনের জন্য এটা অনেকটাই!” আর একজনের মন্তব্য, “এটা দেখা ভীষণই কষ্টের।” এর পাশাপাশি অন্যএক নেটিজেন লেখেন, “ওই সময় কঙ্গনা কী পরিমাণ উত্তেজনা এবং বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, তা আমি কল্পনাও করতে পারি না!” এক নেটাগরিক লিখেছেন, “ব্যাকগ্রাউন্ডে একজন বলছেন, ‘কুশপুত্তলিকা দাহ হোক আর অসত্যের উপর সত্যের জয় হোক।’ ওই ব্যক্তির কথা ভেবে আমার হাসি তো থামছেই না! কী মজাদার এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি। কঙ্গনার উচিত ইউটিউব ক্লাস নেওয়া।”
এই রাবণ দহন অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গে দিল্লির লব কুশ রামলীলা কমিটির প্রেসিডেন্ট অর্জুন সিং বলেন, ফিল্ম “তারকা হোন কিংবা রাজনীতিবিদ প্রতি বছর আমাদের অনুষ্ঠানে একজন ভিআইপি অতিথি উপস্থিত থাকেন। অতীতেও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারকাদের মধ্যে অভিনেতা অজয় দেবগন এবং জন আব্রাহামও উপস্থিত ছিলেন। গত বছরে তো অভিনেতা প্রভাস রাবণ দহন করেছিলেন। এবার এই অনুষ্ঠান ৫০ বছরে পা দিল, এই অনুষ্ঠানে প্রথম বারের জন্য একজন মহিলা রাবণ দহন করলেন।”
তাঁর আরও বলেন, “লব কুশ রামলীলা কমিটি মহিলাদের জন্য সমানাধিকারের দাবি রাখে। জীবনের বহু অধ্য়ায়েই মহিলাদের অংশগ্রহণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু আরও অনেকটা পথ আমাদের যেতে হবে। এই বিল আমাদের দেশ এবং সমাজের অগ্রগতিতে সহায়ক হয়ে উঠবে।”