উই দ্য উইমেন অনুষ্ঠানে বরখা দত্তের সঙ্গে কথা বলার সময়ে জয়া স্বামী সম্পর্কে বলেন, “তাঁর সম্পর্কে আমার সবচেয়ে ভাল লাগার বিষয় হল তাঁর শৃঙ্খলা। আমি নিজেও শৃঙ্খলার প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী। আমি খুব কঠোর মা।” জয়া আরও বলেন, “তিনি বড় একটা কথা বলেন না। তিনি আমার মতো তাঁর মতামত নিয়ে স্বাধীন নন। তিনি তা নিজের মধ্যেই রাখেন, কিন্তু তিনি জানেন কীভাবে তিনি যা চান তা সঠিক সময়ে, সঠিক উপায়ে প্রকাশ করতে হয়… যা আমি করি না! এটাই পার্থক্য। তাঁর ব্যক্তিত্ব ভিন্ন, হয়তো সেই কারণেই আমি তাঁকে বিয়ে করেছি!”
advertisement
আরও পড়ুনঃ জমি বিবাদে বৌদিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা! হাসনাবাদে রক্তাক্ত হামলা, দওরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জয়া বচ্চন আরও মজা করে বলেন বরখাকে, “তুমি কি কল্পনা করতে পারো যদি আমি আমার মতো কাউকে বিয়ে করতাম? সে বৃন্দাবনে থাকত আর আমি অন্য কোথাও!”
অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন ১৯৭৩ সালের ৩ জুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই বছরের জুনে তাঁরা তাঁদের ৫২তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেন। এই দম্পতি পর্দায় একসঙ্গে সিলসিলা, জঞ্জির, অভিমান-এর মতো একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন।
অন্য দিকে, একই অনুষ্ঠানে জয়া বচ্চন পাপারাজ্জিদের সঙ্গে তাঁর তিক্ত সম্পর্কের কথাও বলেছেন। “মিডিয়ার সঙ্গে আমার সম্পর্ক দুর্দান্ত। আমি নিজেই মিডিয়ার পণ্য। কিন্তু পাপারাজ্জিদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শূন্য। এরা কারা? এরা কি এই দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রশিক্ষিত? তোমরা তাদের মিডিয়া বলো? আমি মিডিয়া থেকে এসেছি। আমার বাবা একজন সাংবাদিক ছিলেন। এই ধরনের মানুষদের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা আছে,” তিনি বলেন।
“কিন্তু এই যারা সস্তা, টাইট প্যান্ট পরে এবং হাতে মোবাইল থাকে, ভাবে যে তাদের কাছে মোবাইল আছে বলেই আপনার ছবি তুলতে পারবে এবং যা খুশি বলতে পারবে, আর, নানা ধরনের মন্তব্য করেও তো- এরা কেমন মানুষ? কোথা থেকে আসে এরা, পড়াশোনাই বা কত দূর? পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডই বা কী? এরা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করবে? শুধু এই কারণেই যে তারা ইউটিউব বা যে কোনো সামাজিক প্ল্যাটফর্মে যেতে পারে?” প্রশ্ন তুলেছেন জয়া বচ্চন।
