কলকাতার খ্যাতনামা কসমেটিক সার্জন ডাঃ আদিত্য সেন ও তাঁর স্ত্রী শর্মিলার ১৫ তম বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসেছেন আদিত্যের বন্ধু শেখর, যিনি আবার পেশায় উকিল। আদিত্যের ফোনে তাঁর পেশেন্ট নিশার ফোন ঘন ঘন আসতে থাকে। সেটা দেখতে পারে শর্মিলা। শর্মিলা বেশ কিছু দিন আগে থেকেই আদিত্য আর নিশার সম্পর্কের বিষয়টা জানে। সেট আদিত্য অস্বীকার করলেও খুব একটা লাভ হয়নি। সেই অ্যানিভার্সারি পার্টিতেই আদিত্যকে শর্মিলার হিউমিলিয়েশন করা বাকিরা বুঝতে না পারলেও বেশ বুঝতে পারে শেখর।
advertisement
সেমিনারের জন্য আদিত্যর যেদিন মুম্বই চলে যাওয়ার কথা সেদিনই শর্মিলাকে খুন করে আদিত্য। তারপর পুরো ফ্ল্যাটটাকে এমন ভাবে সাজায় যেন মনে হয়, ডাকাতি করতে এসে ডাকাতরাই খুন করেছে শর্মিলাকে। প্ল্যান অনুযায়ী ঠিক যতক্ষনে পুলিশ জানতে পারবে, আদিত্য তখন মুম্বইয়ে। নিশা এক্ষেত্রে আদিত্যর পার্টনার-ইন-ক্রাইম।
এই খুনের ইনভেস্টিগেশন করতে আসে ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসার নলিনী কুন্ডু, সঙ্গে তাঁর অ্যাসিস্ট্যান্ট মুস্তাক। নলিনী খবর দেয় আদিত্যকে। আর শর্মিলা যে এখনও মৃত নয়, কোমাতে আছে, সেটাতেই চমকে যায় আদিত্য। আদিত্যর আচরণ চোখ এড়ায়নি নলিনীর। ইনভেস্টিগেশন চলতে থাকে, জট যেন বাঁধতে থাকে আরও। শর্মিলা মাঝে রেসপন্স করলেও শেষ রক্ষে হয়নি। নলিনীকে কিছু বলার আগেই মারা যায় শার্মিলা।
আরও পড়ুন- ট্যুইটারের সম্পূর্ণ দায়িত্বে এলন মাস্ক, বিতাড়িত সিইও এবং সিএফও
নলিনী কি বুঝতে পারবে আদিত্য যে আসল খুনি? নাকি একটা ‘পারফেক্ট মার্ডার’ করে আদিত্য বেঁচে যাবে নলিনীর চোখে ধুলো দিয়ে?
ছবির পরিচালনায় সৌমিক চট্টোপাধ্যায় ৷ অভিনয়ে রজতাভ দত্ত, সুব্রত দত্ত, রূপসা চট্টোপাধ্যায়, মিশকা হালিম, ছন্দক চৌধুরী, গৌতম সরকার প্রমুখ ৷