আসগর আলি সেই ব্যক্তি ২০১৮ সালে মৃত অবনীকে শ্যুট করে বলে জানা যায়। তিনি বিখ্যাত শিকারী নবাব শাফাত আলি খানের ছেলে। নিজেকে টাইগার শিকারি বলতে গর্ব বোধ করেন এই ব্যক্তি। আসগর আলি খান বলেন, " সে সময় সরকার তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় ওই প্রোজেক্টে কাজ করার জন্য। অবনী মানুষ খেকো অর্থাৎ ম্যান ইটার হয়ে গিয়েছিল। সে ১৪জন মানুষকে মারে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অবনীকে মারার। সে সময় বাঘ মারাটা দরকার ছিল। নাকি মজা করছিলাম আমরা ওখানে? তাছাড়া বাঘটি আগে থেকেই মারা যায়।" আসগর আলির দাবি, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সম্মান হানি করছে 'শেরনি'। তিনি শেষ দেখে ছাড়বেন।
advertisement
ওদিকে 'শেরনি'র নির্মাতারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এর সঙ্গে আসগর আলি বা তাঁরা বাবার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা একটা কাল্পনিক গল্প। কিন্তু আসগরের এই আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিতে বাড়ছে জল্পনা। তবে কি সত্যিই শেরনি-ই বলছে আসল সত্যিটা। নেট মাধ্যম তো তাই বলছে।
তবে ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের ইয়াবতামাল জেলার রালেগাঁও এলাকার জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া বাঘিনী অবনীর ঘটনা অনেকেরই মনে আছে। 'শেরনি' ছবিতে বিদ্যাকে বনদফতরের ডিএফওর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। বাস্তবের তথ্য বলছে মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে যখন বাঘিনী অবনীর মৃত্যু হয়, তখন আইএফএস অফিসার কে এম অবর্ণা ছিলেন সেখানের দায়িত্বে। তাই ছবির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে প্রায় সব ঘটনাই। তবে কি সত্যি সামনে আসার ভয়েই এবার অন্য সুরে কথা বলছেন আসগর আলি খান !