TRENDING:

'শেরনি'র সঙ্গে যোগ নিহত বাঘিনী অবনীর ! মানহানির অভিযোগ শিকারী আসগর আলি খানের

Last Updated:

আসগর আলি সেই ব্যক্তি ১৯১৮ সালে মৃত অবনীকে শ্যুট করে বলে জানা যায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: শেরনি। বিদ্যা বালন অভিনীত এই ছবি নিয়ে মেতে রয়েছেন দর্শক। পরিচালকের সাহসিকতা ও বিদ্যার অভিনয়ের পাশাপাশিই এই ছবি ঘিরে আচমকা নজর কাড়তে শুরু করেছে বেশ কিছ বিতর্ক। প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি বিদ্যা বালনের ছবি 'শেরনি' বাস্তবের এক সত্যি ঘটনাকে তুলে ধরছে? আর সেই ঘটনা কি মহারাষ্ট্রে মানবঘাতী বাঘিনী অবনীর কাহিনি? এখানে দেখানো হয়েছে পিন্টু নামের এক শিকারীকে। যে পরিবার সূত্রে শিকারের সঙ্গে যুক্ত। ছবিতে দেখানো হয়েছে সেই মারে ছবির টাইগ্রেস টি-১২কে। ঠিক এভাবেই অবনীর সঙ্গে মিল পাচ্ছিলেন সকলে। কিন্তু নির্মাতারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে বাস্তবের কোনও যোগ নেই। তবে চুপ করে বসে থাকলেন না শিকারী বা শ্যুটার আসগর আলি খান। তিনি 'শেরনি' ছবির পরিচালক থেকে নির্মাতা সকলের বিরুদ্ধে লিগাল অ্যাকশন নিতে চলেছেন। কয়েকদিন আগেই তিনি নির্মাতাদের একটি জবাব চেয়ে চিঠি পাঠান। আর সেই চিঠির উত্তরে তিনি খুশি হন না। এবং এর পরই আইনি পদক্ষেপ নিতে চান আসগর আলি।
advertisement

আসগর আলি সেই ব্যক্তি ২০১৮ সালে মৃত অবনীকে শ্যুট করে বলে জানা যায়। তিনি বিখ্যাত শিকারী নবাব শাফাত আলি খানের ছেলে। নিজেকে টাইগার শিকারি বলতে গর্ব বোধ করেন এই ব্যক্তি। আসগর আলি খান বলেন, " সে সময় সরকার তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় ওই প্রোজেক্টে কাজ করার জন্য। অবনী মানুষ খেকো অর্থাৎ ম্যান ইটার হয়ে গিয়েছিল। সে ১৪জন মানুষকে মারে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অবনীকে মারার। সে সময় বাঘ মারাটা দরকার ছিল। নাকি মজা করছিলাম আমরা ওখানে? তাছাড়া বাঘটি আগে থেকেই মারা যায়।" আসগর আলির দাবি, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সম্মান হানি করছে 'শেরনি'। তিনি শেষ দেখে ছাড়বেন।

advertisement

ওদিকে 'শেরনি'র নির্মাতারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এর সঙ্গে আসগর আলি বা তাঁরা বাবার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা একটা কাল্পনিক গল্প। কিন্তু আসগরের এই আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিতে বাড়ছে জল্পনা। তবে কি সত্যিই শেরনি-ই বলছে আসল সত্যিটা। নেট মাধ্যম তো তাই বলছে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

তবে ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের ইয়াবতামাল জেলার রালেগাঁও এলাকার জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া বাঘিনী অবনীর ঘটনা অনেকেরই মনে আছে। 'শেরনি' ছবিতে বিদ্যাকে বনদফতরের ডিএফওর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। বাস্তবের তথ্য বলছে মহারাষ্ট্রের জঙ্গলে যখন বাঘিনী অবনীর মৃত্যু হয়, তখন আইএফএস অফিসার কে এম অবর্ণা ছিলেন সেখানের দায়িত্বে। তাই ছবির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে প্রায় সব ঘটনাই। তবে কি সত্যি সামনে আসার ভয়েই এবার অন্য সুরে কথা বলছেন আসগর আলি খান !

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
'শেরনি'র সঙ্গে যোগ নিহত বাঘিনী অবনীর ! মানহানির অভিযোগ শিকারী আসগর আলি খানের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল