আর সেই স্মৃতিটুকুই নিজের ফেসবুকে ডিসপ্লে পিকচার করে রাখলেন। নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে বাঁধিয়ে রাখলেন হৃতজিৎ। তাঁদের চারজনের ছবি। সব্যসাচী, ঐন্দ্রিলা, অর্পিতা এবং হৃতজিৎ। সঙ্গে লিখলেন, 'ভাল থাকিস বন্ধু, দেখা হবে আবার, আমার বিশ্বাস।'
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর একটি পোস্টে অভিনেতা লিখেছিলেন, 'মনে পরে যায় আমার বিয়ের Reception এর রাত, কতো কথা হল.. অনেক দিন পর তোর সাথে দেখা হল কি না।। আমার এক কথায় তুই সব্য কে নিয়ে চলে এসেছিলি আমার reception এ... মনে পরে যায় সেই তোর আর আমার করা Love cafe সিনেমার shooting এর দিন গুলোর কথা..'
advertisement
বাকি বন্ধুদের মতো হৃতজিৎও ক্রমাগত খবরাখবর রাখছিলেন ঐন্দ্রিলার। হাসপাতালে না থেকেও বারবার সব্যসাচীকে ফোন করে বা অন্য কোনও ভাবে অভিনেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানছিলেন।
আরও পড়ুন: স্টুডিও পাড়ায় আজ আসবেন অন্য ঐন্দ্রিলা! শেষযাত্রা কোন পথে? জানালেন সৌরভ
গত ২ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকের পর ঐন্দ্রিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই সময়ে হৃতজিৎ নিউজ18 বাংলাকে বলেছিলেন, "সব্যসাচী কিছুই খেতে চাইছে না। কোনও ভাবে ওকে খাওয়ানো হচ্ছে। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সব্যসাচীও একটা কঠিন লড়াই লড়ছে। ওর সাহসকে কুর্নিশ।"
আরও পড়ুন: হাসপাতালের এক কোণে বসে সব্যসাচী, বন্ধুকে ফোন করে জেনেছেন ফেসবুক বন্ধ করার উপায়
তাঁরও বিশ্বাস ছিল, ঐন্দ্রিলা ফিরবেন। তাই ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, 'সব্যসাচী, ঐন্দ্রিলা, তোদের আবারও প্রাণোচ্ছল ভাবে একসঙ্গে দেখতে চাই আমরা সব্বাই।' কিন্তু তেমনটা হল না। লড়াই থেমে গেল 'জিয়নকাঠি'র নায়িকার।
রবিবার দুপুর ১২.৫৯-এ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ অভিনেত্রীর। টলিপাড়া আজ স্তব্ধ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে অভিনেত্রীর পরিবার। ভক্তদের মনেও কালো মেঘ। অভিনেত্রীর ভালবাসার মানুষেরাও আজ শব্দ হারিয়েছেন। বহু যুদ্ধে জয়ী হয়েও ফিরে এল না মেয়েটা।