ছবির নাম ‘জীবনপুরের পথিক’। তরুণ মজুমদার মানেই গ্রামবাংলা, সেখানকার আটপৌরে মানুষদের জীবন-যাপন দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রেখেছিলেন পরিচালক। তাই গ্রামবাংলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে শ্যুট হয়েছে এই ছবির, তার ঝলক সময়ে সময়ে দেখা গেছে বামপন্থী দলনেতা শতরূপ ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। শতরূপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়েছে এই ডকুমেন্টারিতে কি শুধুই সিনেমা নিয়ে আলোচনা হয়েছে? না রাজনীতিও ছিল? তাঁর উত্তরে তিনি জানান, "না, শুধুই সিনেমা"।
advertisement
আরও পড়ুন: জীবনকৃতি সম্মাননা পেলেন অপর্ণা সেন! শ্রীনিকেতনের শতবর্ষে রইল সুজয় প্রসাদের নতুন চমক
ডকুমেন্টারিতে রয়েছে আরও একাধিক চমক। প্রসেনজিত থেকে সৃজিত মুখার্জি একাধিক মানুষের উপস্থিতি রয়েছে এই সিনেমায়। তাপস পালের উপস্থিতি রয়েছে এই ডকুমেন্টারিতে অদ্ভুত ভাবেই। থাকতে পারে গুলজার এবং দেবশ্রী রায়ের সাক্ষাৎকারও। আমরা তরুণ মজুমদারের ছবি দেখেছি, তবে এইবার নেপথ্যের কাহিনী জানার সুযোগ করে দিয়েছে বাম নেতা শতরূপ।
আরও পড়ুন: কাজের বেতনে মহিলাদের বৈষম্য! বিবাহ পরবর্তী জীবন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন বিদ্যা বালান
পরিচালকের অনুমতি পেতে যদিও কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। অনেক পরিচালকই তাঁর কাছে তথ্য়চিত্র তৈরি করার প্রস্তাব রেখেছেন। তবে তিনি একটু বেশি নম্বর দিয়ে এগিয়ে দিয়েছেন শতরূপ ঘোষকে (Shatarup Ghosh)। তরুণ মজুমদারকে নিয়ে এমন প্রয়াস ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে বিরল । ডকুমেন্টারিটি দেখা যাবে নন্দন কিংবা এসআরএফটিআইতে, তা এখনও ঠিক হয়নি। সিনেমাটোগ্রাফার পঞ্চানন পোদ্দারকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন বিভিন্ন গ্রাম। বাম আন্দোলনের অন্যতম মুখ শতরূপ, তবে ছবি বানানোর ক্ষেত্রে কতটা নিপুণ? এত কঠোর পরিশ্রম, এত রিসার্চ এবং এত অজানা গল্পের ঝুলি ‘জীবনপুরের পথিক’, যা দেখার জন্য ইতিমধ্যেই উৎসুক সিনেমাপ্রেমীরা।