তবে সলমন খানের সঙ্গে ২০০৭ সালের পার্টনার ছবির হাত ধরে বহু প্রতীক্ষিত কামব্যাকও হয় তাঁর। কিন্তু সেই স্টারডম আর পুনরুদ্ধার করতে পারেননি তিনি। এবার এ বিষয়ে এক বিস্ফোরক দাবি করলেন বর্ষীয়ান প্রযোজক পহলাজ নিহালানি। আসলে একটা সময় গোবিন্দার সঙ্গে ‘ইলজাম’ (১৯৮৬), ‘শোলা অওর শবনম’ (১৯৯২) এবং ‘আঁখেঁ’ (১৯৯৩)-র মতো ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। Pinkvilla-র সঙ্গে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে নিহালানি বলেন যে, এই ইন্ডাস্ট্রিই গোবিন্দার কেরিয়ার ধ্বংস করে দিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তালিকা প্রকাশ, প্রথম ১০-এ বাংলার কোন কলেজ? নামটা জানলে গর্বিত হবেন
খোলামেলা সাক্ষাৎকারে নিহালানি বলেন যে, “সেই ‘পার্টনার’ ছবির পরে সব কিছু যেন গোবিন্দার বিরুদ্ধে চলে যায়। কারণ এরপরে আর কোনও ছবির অফার পাননি তিনি। এমনকী গোবিন্দার হাতে থাকা বড় ছবিগুলির কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছবি তো ছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে। যদি কেউ আপনার পিঠে ছুরি মারে, তার ছাপ কিন্তু থাকে না। এমনকী আপনি বুঝতেও পারবেন না। ফলে বারবার তাঁর পিঠে ছুরি মারা হয়েছে।”
ওই প্রযোজক জোর দিয়ে এ-ও জানান যে, তাঁর এই মন্তব্য কিন্তু জল্পনার ভিত্তিতে একেবারেই নয়। বরং যা তিনি দেখেছিলেন, সেই সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করেই তিনি যা বলার বলেছেন। নিহালানির কথায়, “এটা ছিল সত্য। এমনকী রঙ্গিলা রাজা (২০১৯) ছবির পরে একাধিক বড় প্রযোজক আমায় প্রশ্ন করেছিলেন যে, গোবিন্দা কখনও আমায় বিরক্ত করেছেন কি না। কিন্তু আমি না বলেছিলাম। গোবিন্দা সময়ে আসতেন এবং সময়ে চলে যেতেন। উনি দেরি করে কাজে আসতেন, সেটা একটা গুজব মাত্র! সকাল ৬টাতেও গোবিন্দা আমার জন্য শ্যুট করেছেন। কোনও দিনও নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরি করেননি।”
আরও পড়ুন: মানুষ চাইলে সব পারে, প্রমাণ দিলেন সঞ্চয় স্যার! একসময়ের ‘হাসির পাত্র’ আজ কলেজের সহকারী অধ্যাপক
এর পাশাপাশি বলিউড ইন্ডাস্ট্রের অন্ধকার দিকটাও তুলে ধরে নিহালানি দাবি করেন যে, “বলিউডে কেউ কারও বন্ধু নন। সময়ে বন্ধু হবে, আর সময় পেরিয়ে গেলে আর বন্ধুত্ব থাকবে না। কেউ কারও আপন নয়। যদি কারও ছবি ফ্লপ হয়, তাহলে অন্যরা পার্টি দেন।” একবার গোবিন্দার স্ত্রী সুনীতা আহুজা অভিযোগ করেছিলেন যে, গোবিন্দার আশপাশে থাকা মানুষরাই তাঁকে উন্নতি করতে দেননি। সেই বিষয়টার সঙ্গে একমত হয়েছেন নিহালানিও। বলেন, “ভুল কিছু বলেননি উনি। সুনীতা একদম ঠিক বলেছেন। এই পণ্ডিতরাই গোবিন্দার কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছিল।”
গোবিন্দাকে অন্য পথ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কি না, সেই বিষয়ে নিহালানি বলেন, “কাউকে পরামর্শ দেওয়াটা ভুল। আসলে কাউকে জ্ঞান দেওয়ার অর্থ হল, নিজেরটা তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া। সত্যি বলা আর সত্যি শোনার মধ্যে বিস্তর ফারাক। একজন ব্যক্তি এবং একজন অভিনেতা হিসেবে গোবিন্দাকে আমি কখনওই ভুল বলব না। আসলে কিছু কিছু সময়ে ওঁর চিন্তাধারায় ভুল ছিল।”