উল্লেখ্য, রাজ কুন্দ্রাকে গত সপ্তাহে একটি পর্নোগ্রাফি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তিনি হটশটস নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট তৈরি এবং স্ট্রিমিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রের খবর, ক্রাইম ব্রাঞ্চ যখন রাজের মুম্বইয়ের বাড়িতে অভিযান চালায় তখন শিল্পাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর শিল্পা খুব বিরক্ত হয়েছিলেন। তাঁর এবং রাজ কুন্দ্রার মধ্যে এক সময় তুমুল তর্ক বেঁধে যায়। এমনকি শিল্পা চিৎকার করে তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এমন কাজ করার কী দরকার ছিল? এর পর অপরাধ দমন শাখার দলকে অভিনেত্রীকে শান্ত করার জন্য দম্পতির মধ্যে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল বলে খবর। আরও জানা গিয়েছে যে শিল্পা কাঁদতে কাঁদতে পুলিশকে বলেছিলেন যে তিনি রাজের অ্যাপের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।
advertisement
সূত্র জানিয়েছে যে শিল্পা রাজের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং তাঁকে বলেছিলেন যে এই কাজের জন্য কেবল পরিবারের নামই খারাপ হয়নি, সেই সঙ্গে বিপুল আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে। জানা গিয়েছে, মার্চ মাসে পর্নোগ্রাফি মামলায় আরও নয়জনকে গ্রেফাতারে পর রাজ ভেবেছিলেন যে এবার তাঁকেও জেলে যেতে হবে এই মামলায়। ফলে তিনি বিভিন্ন তথ্য মুছে ফেলার চেষ্টা করেন এবং গা ঢাকা দেওয়ার জন্য তৎপর হন। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ কুন্দ্রা মার্চ মাসে তাঁর ফোন পরিবর্তন করেছিলেন যাতে কোনও তথ্য উদ্ধার করা না যায়। ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা যখন তাঁকে তার পুরনো ফোন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি তাঁদের বলেন যে তিনি সেটিকে ফেলে দিয়েছেন। পুলিশ তখনই অনুমান করে যে পুরনো ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে!