তবে সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেল, তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের বক্তব্য, নায়িকা নাকি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গত বছর লুক-আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করার কারণে তাতে সক্ষম হননি বলে ইডি-র অভিযোগ। জামিন আবেদনের শুনানি চলাকালীন ইডি অভিযোগ জানায়, জ্যাকলিন তাঁর মোবাইল ফোন থেকে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছিলেন।
advertisement
জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি বলে, "জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ কখনওই তদন্তে সহযোগিতা করেননি, প্রমাণ পেশ করার পর কেবল মুখ খুলেছেন তিনি।"
আরও পড়ুন: স্বস্তি জ্যাকলিনের, ২০০ কোটির তছরুপ মামলায় অন্তবর্তীকালীন জামিন পেলেন বলি তারকা
আদালত ইডি-কে সমস্ত পক্ষকে চার্জশিট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর জামিন ও অন্যান্য বিচারাধীন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থা গত ১৭ অগাস্ট এই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে অভিনেত্রীর নাম উল্লেখ করে একটি চার্জশিট দাখিল করে। সুকেশ জ্যাকলিনকে ৭ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের গয়না উপহার দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তা ছাড়াও জ্যাকলিনের পরিবারের সদস্যদের বেশ কয়েকটি দামি গাড়ি, দামি ব্যাগ, জামাকাপড়, জুতো এবং দামি ঘড়ি উপহার দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: 'স্বপ্নের পুরুষ' সুকেশকে বিয়ের জন্য মরিয়া ছিলেন জ্যাকলিন, বাধা হন সহ-অভিনেতা
যদিও এরই মাঝে শনিবার জেলবন্দি প্রতারক সুকেশ তাঁর আইনজীবীকে দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ২০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে জ্যাকলিনের কোনও ভূমিকা নেই। উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেই দামি দামি উপহার দেওয়া হয়েছে।