জি বাংলার সারেগামাপা-র মঞ্চে দুর্নিবারকে দেখে ভাল লেগেছিল মীনাক্ষীর৷ প্রথম দেখা পর্দার ওপার থেকেই৷ ফেসবুকে খুঁজে পাঠিয়েছিলেন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট৷ অগণিত অনুরাগিণীর মধ্যে থেকে মীনাক্ষীকে পছন্দ হয়েছিল দুর্নিবারের৷ নিজেই চেয়ে নিয়েছিলেন ফোননাম্বার৷ এককথায় দুর্নিবার স্বীকার করেন যে প্রথমে আগ্রহের পারদ তাঁর তরফেই ছিল বেশি৷ রচনার প্রশ্নের উত্তরে গায়ক বলেছিলেন মীনাক্ষীকে দেখে তাঁর মনে যে ভালবাসার অনুভূতি এসেছিল তাতে মনে হয়েছিল এর সঙ্গে একদিন দুদিন নয়, কাটানো যেতে পারে সারা জীবন৷ সেই স্বপ্ন নিয়েই অঙ্গীকারবদ্ধ হন দুজনে৷
advertisement
বিয়ের পরও কিন্তু দুর্নিবারের ফ্যান ফলোয়িং-এ কোনও ভাটা পড়েনি৷ সেটা কেমন লাগত মীনাক্ষীর? তিনি জানান প্রথম দিকে সত্যিই তাঁর বিরক্ত লাগত৷ রাগও হত৷ কিন্তু পরে ক্রমে সব মেনে নিয়েছিলেন৷ এমনকি, রচনাকে তিনি এটাও বলেছিলেন যে বাড়ির গাছে সুন্দর ফুল হলে তার আশেপাশে মৌমাছিরা তো ভিড় করবেই৷ তাই বলে কি তিনি ফুলগাছের যত্ন নেবেন না? প্রাক্তন স্ত্রী মুখে এরকম কথা শুনে দৃশ্যতই আপ্লুত হয়ে পড়েন গায়ক দুর্নিবার৷
প্রেমের পাশাপাশি দাম্পত্য কলহও উঠে আসে কথাপ্রসঙ্গে৷ মীনাক্ষী জানিয়েছিলেন সম্পর্কে মিষ্টি মধুর ভাবের থেকেও বেশি ছিল টক ঝাল স্বাদ৷ আরও ব্যাখ্যা করে দুর্নিবার জানান, অম্লতা তাঁর তরফে বেশি৷ আর মীনাক্ষীর তীব্রতা ঝালের মতোই৷ কারণ তিনি রাগী৷ প্রাক্তন স্ত্রীর রাগ সামলানোর দায়িত্ব নাকি ছিল তাঁরই৷ জানান দুর্নিবার৷ একসঙ্গে গানের রেওয়াজ না করলেও দুজনে গুনগুন করতেন একসঙ্গে৷ অবসর কাটত গানের সুরে গুনগুনিয়েই৷
আরও পড়ুন : আগে পাটিপত্র ছাড়া হতই না বাঙালি বিয়ে, কী ছিল এই রীতি, নামকরণের কারণই বা কী
কিন্তু এই সুর কেটে গিয়েছিল অল্প দিনেই৷ বিয়ের কয়েক মাস পরেই তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরে৷ ডিভোর্সের পর প্রথম বিয়ের দু বছরের ঠিক মাথায় দ্বিতীয় বিয়ে করলেন দুর্নিবার৷ অভিযোগ, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী মোহর সেনের সঙ্গে দুর্নিবারের পরকীয়া প্রেমেই ভাঙে তাঁর প্রথম সংসার৷ কিন্তু সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুর্নিবার৷ আপাতত সদ্য পরিণীতা মোহরের সঙ্গে নতুন জীবনের স্বপ্নে গায়ক বিভোর৷