আজ ষাটে পড়লে তুমি। আরও অনেক ষাট কাটুক। এ ভাবেই। 'ইন্ডাস্ট্রি' হয়ে। আমাদের সঙ্গে থেকে। আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। তোমার মতো এক জন মানুষের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছি, সে কথা যেন আজও বিশ্বাস হয় না। চিমটি কেটে বিশ্বাস করাতে হয় নিজেকে।
লোকে বলে তুমি 'ইন্ডাস্ট্রি'। সত্যিই তো তাই। যে 'ইন্ডাস্ট্রি' সকলের খেয়াল রাখে। মনে পড়ে, এক দিন 'আয় খুকু আয়'-এর শ্যুটিং সেটে কেবল তোমার আর আমার খাবার এসেছিল, বাকি সকলের খাবার আসতে দেরি হচ্ছিল বলে তুমি খাবার মুখে তোলোনি। সে-ই তো 'ইন্ডাস্ট্রি'। আর তাঁকেই 'বাবা' বলে ডাকার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোয় আমার আপনার মনের কথা নিয়ে হাজির দীপান্বিতার 'মনকলম'
মাঝে মাঝে ভাল লাগে এটা ভেবে, আমার একাধিক মানুষকে বাবা-মা বলে ডাকতে পারি। তুমি তো আমার 'বাবা'ই। আমি কিছু না বললেও চুপচাপ সেটে আমার জন্য খাবার অর্ডার করে দিতে। তাও আবার আমার পছন্দের খাবারই।
মন খারাপ হলেই তোমার কাছে চলে যাই। পুরো চট্টোপাধ্যায় পরিবারই যেন আমার নিজের। এখনও কোনও বিষয়ে সমস্যা হলে মিশুককে (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র) মেসেজ করি। অনেকটা দূরে থাকে ও। তাও ঠিক সমাধান বলে দেয় মিশুক। আর পরামর্শর জন্য তো তুমি আছই। আর অর্পিতা আন্টিও তো আমার নিজেরই। নিজের পরিবারের পাশে যেন আরও একটা পরিবার। সৌভাগ্য বোধ হয় একেই বলে।
আরও পড়ুন: অভিনব জন্মদিন পালন! হোমের শিশুদের সঙ্গে দিন কাটালেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
তোমার জন্মদিনে তোমার বাড়ি যেতে পারিনি। এমন একটা কাজে ফেঁসে গেলাম! কিন্তু মনটা পড়ে ছিল তোমার জন্মদিনের পার্টিতেই। ছবি দেখছিলাম, আর হিংসে হচ্ছিল। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি তোমার কাছে যাব। দেখা হবে। ভাল থেকো।
তোমার বুড়ি (দিতিপ্রিয়া রায়)