এর আগেই অবশ্য সামনে এসেছে প্রথম ঝলক। ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানও। যেখানে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এদিকে মুক্তি পেয়েছে এই ছবির গান ‘তোমার গান শোনায়’।
advertisement
বলে রাখা ভাল যে, এই ছবিটি দেশ-বিদেশে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত এবং পুরস্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল – আটলান্টা ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ পরিচালক এবং এনএবিসি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার।
এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন অভিজিৎ চৌধুরী। আর যৌথ প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে ফোর্থ ফ্লোর এন্টারটেনমেন্ট ও কনসেপ্ট কিউব। ‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে ঋষভ বসু, বাদশা মৈত্র, কোরক সামন্ত, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিকা পাল, যুধাজিৎ সরকার, আনন্দরূপা চক্রবর্তী, দীপক হালদার, শান্তনু নাথ, অরুণাভ খাসনবিশ, সেজুতি মুখোপাধ্যায় এবং প্রেরণা দাসের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন প্রলয় সরকার। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে রয়েছেন তিমির বিশ্বাস এবং প্রলয় সরকার। সিনেম্যাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলেছেন অর্ণব লাহা। ভিএফএক্স করেছেন শুভায়ন রায়।
ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন মূলত একটি ক্রাইম ড্রামা এবং সায়েন্স ফিকশন ধারার চলচ্চিত্র। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ধ্রুব নিজের প্রেমিকা রিমির পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে এক জটিল মুহূর্তের সম্মুখীন হয়। ধ্রুব বুঝতে পারে যে, রিমিদের জন্য টাকা জোগাড় করতে গেলে তাঁকে একটা অপরাধ করতে হবে। কিন্তু রিমি চায় না যে, ধ্রুব কোনও খারাপ কাজ করুক। ধ্রুবকে যে কোনও একটা রাস্তা বেছে নিতে হবে। এই প্রসঙ্গে পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী জানিয়েছিলেন যে, ‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’ ছবিতে ধ্রুবর জীবনের চারটি সম্ভাবনার চারটি অধ্যায়ের গল্প বলা হয়েছে। আর এই চারটে অধ্যায়ে চার জন কিংবদন্তি বাঙালি শিল্পীকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে। আর এই শিল্পীরা হলেন যামিনী রায়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিকাশ ভট্টাচার্য , বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়।
এই ছবির ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন যে, “ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানটি আমার জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত ছিল। কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রম এবং আবেগের পর অবশেষে ছবিটিকে রূপ নিতে দেখার আনন্দটাই আলাদা। বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং সহকর্মীদের থেকে পাওয়া সাড়া আমায় মন ছুঁয়ে গিয়েছে। তাঁরা ছবির বিষয়বস্তু, দৃশ্য এবং এনার্জির সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে দিতে পেরেছেন। যা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, খোলা মনে ছবিটি দেখুন আর এই সফরে নিজেকে নিমজ্জিত করুন।”
অভিনেত্রী ঋত্বিকা পালের কথায়, “ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি আক্ষরিক অর্থেই নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস প্রায় রোধ করে রেখেছিলাম। আমার পরিচিত সকলেই রিমির ক্ষমতা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী, যার আভাস আমরা পেয়েছি ওই ট্রেলারে। এর পাশাপাশি সমস্ত গান মুক্তির জন্যই অপেক্ষা করে ছিলাম। কারণ আমার মনে হয়, দর্শকরা এই অ্যালবামকেও ভালবাসা দেবেন।”
অভিনেতা যুধাজিৎ সরকার আবার বলেন, “অভিজ্ঞতাটা ছিল দুর্দান্ত। আর ভালই সাড়া মিলেছে। আমার মা নিজেই একজন চলচ্চিত্র-প্রেমী। আর ট্রেলারটি দেখার পরে তাঁকে বেশ উত্তেজিত বলেই মনে হচ্ছিল। এদিকে আমার বন্ধুরা তো গানের কথাই বলেছে। আমার বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই ‘তোমার গান শোনায়’ গানটি ল্যুপে শুনছে বলে জেনেছি। একজন অভিনেতা হিসেবে আমি সব সময় আশা করি যে, আমার ছবি যেন ভাল চলে। আর একাধিক কারণে ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন আমার কাছে বিশেষ হয়ে রয়েছে। ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন একদম অন্যরকম গল্প আর অন্যরকম ছবি। তাই আমার প্রত্যাশাও তুঙ্গে।”
অভিনেতা ঋষভ বসুর কথায়, “ট্রেলার মুক্তির অনুষ্ঠানে আমার অভিজ্ঞতা প্রত্যাশার থেকেও বেশি ছিল। সংবাদমাধ্যমের অনেক বন্ধুই উপস্থিত ছিলেন। আর তাঁদের সাহায্যেই আমাদের ছবিটি বড় অংশের কাছে পৌঁছতে পেরেছে। এই ছবির যাত্রা প্রসঙ্গে আমার পরিবার এবং বন্ধুরাও ওয়াকিবহাল। আবার আমার বহু বন্ধুই মনে করেন যে, এটা আমার সেরা অভিনয়ের মধ্যে অন্যতম। এই আত্মবিশ্বাসই মনে আশা জাগাচ্ছে আর আমি মনে করি যে, ছবিটি ভালই সাড়া পাবে। এমনিতে ট্রেলার এবং গান মুক্তি পাওয়ার পর তা দর্শকদের থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছে।”