এই ছবির মিউজিক নিয়ে বলতে গিয়ে দেবজ্যোতি জানালেন, ‘‘ জয়া এই গানটা নিয়ে বেশ ভাল রকম হোমওয়ার্ক করেছেন, তা ওঁর গানেই বোঝা যায় । ওঁর কথা বলার নিজস্ব একটা ঢং আছে। সেখানে অন্য কোনও কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত ঠিক মানাত না । বেশ অনেক সময় দিয়েছেন এই গানটার জন্য । ছবিটা দেখার সময় ওঁর গানটা উপলব্ধি করছিলাম।
advertisement
রবীন্দ্রসঙ্গীতের টিপিক্যাল কিছু ম্যানারিজমের বাইরে গিয়েও পুরনো দিনের শিল্পীদের কথা মনে করিয়ে দেয়। ওঁর কন্ঠে আরও গান হওয়া প্রয়োজন আছে।শুধু অভিনয়ে নয়, গানেও ওঁর দখল নজর কাড়ে।'
এই ছবির মিউজিক নিয়ে দেবজ্যোতি আরও বললেন, ‘‘ ছবিতে বাকি দুটো গান আমার নিজের লেখা । 'মনের ভিতরে মন' ইমন চক্রবর্তীর কন্ঠে, অন্যটি 'এই তো বেশ আছি' রূপঙ্কর বাগচীর কন্ঠে । ইমনের গান এই ছবির মূল থিমকে এগিয়ে নিয়ে যায় । আমাদের জীবনের মধ্যে যেমন অনেক অন্য জীবন থাকে, ছবির গল্পের মধ্যে থাকে টুকরো অনেক গল্প । ইমনের গানে তারই প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে । রূপঙ্করের গান 'ময়ূরাক্ষী', 'রবিবার' হয়ে 'বিনিসুতোয়' মিলেছে । এই ট্রিলজিতে রূপঙ্করের গান এক যোগসূত্র স্থাপন করে । এই ছবিতে আরেকটা বিশেষ মিউজিক পিস যেটা দেবাশিস সোমের হুইসল-এর সঙ্গে চেম্বার অর্কেস্ট্রার মিশেলে তৈরি করেছি । এটাই আমার করা প্রথম হুইসল সোনাটা । এটা একটা গানই, যাতে কোনও কথা নেই । ছবিতে এটা আসে অনেকটা অনুঘটকের ভূমিকায় ।'
ছবির পরিচালক অতনু ঘোষের কাজ নিয়ে বলতে গিয়ে দেবজ্যোতি বলেন, ‘‘ ঋতুপর্ণর পর এত জায়গা দিয়ে রবীন্দ্রনাথের গানকে আমার নিজের মতো করে ভাবতে সচরাচর আর কে-ই বা দিয়েছেন ! এটা একটা ট্রিলজি যা ময়ূরাক্ষীতে শুরু হয়েছিল । অতনু সব সময়ই আমার ভাবনাকে সঠিক ভাবে বাস্তবায়িত করেছেন । ময়ূরাক্ষী থেকে রবিবার হয়ে বিনিসুতোয় একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো । এই ট্রিলজি ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক অনন্য প্রয়াস যা আমার মনে অনেক চিরস্থায়ী টুকরো ছবি এঁকে দিয়ে গেছে। আমি চাই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটা উপভোগ করুন।’’