সেদিক থেকে দেখতে গেলে অর্জুন কাপুর এবং মালাইকা অরোরার কথাই ধরা যাক। ২০১৮ সালে তাঁদের সম্পর্কের সূত্রপাত। এই জুটির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বক্তব্য, তাঁদের সম্পর্কে প্রচুর উত্থান-পতন এসেছে।
আবার অন্যদিকে ‘কফি উইথ করণ’-এর শেষ মরশুমে শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে সম্পর্কে শিলমোহর দিয়েছেন জাহ্নবী কাপুর। আবার ওই একই পর্বে জাহ্নবীর বোন খুশি কাপুরের সঙ্গে বেদাঙ্গ রায়নার সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মুখ ফস্কে মেয়ের ‘গোপন’ প্রেমিকের নাম বল ফেললেন! ‘রাণী রাসমণি’ দিতিপ্রিয়ার মায়ের পোস্ট নিয়ে শোরগোল
খুশি আর বেদাঙ্গ একসঙ্গে ‘আর্চিজ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। অন্যদিকে আবার অর্জুন কাপুরের বোন অংশুলা কাপুরও ইনস্টাগ্রামে চিত্রনাট্যকার রোহন ঠক্করের সঙ্গে সম্পর্কে শিলমোহর দিয়েছেন।
News18 Showsha-র সঙ্গে বিশেষ আলাপচারিতায় বনি কাপুর জানিয়েছেন যে, সৌভাগ্যবশত তিনি এমনবাবা নন, যিনি সন্তানদের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে চর্চা করেন। বনির কথায়, “এটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমি শুধু মাঝে মধ্যে কথা বলতে পারি এবং নিজের মতামত জানাতে পারি। আসলে আজকালকার বাচ্চারা আমাদের প্রজন্মের বাচ্চাদের তুলনায় বেশি পরিণত। আপনি যেভাবে চাইছেন, সেভাবে তাদের জোর করে কাজ করানো যাবে না।”
এরপর তিনি সন্তানদের প্রবৃত্তি এবং পছন্দের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তাঁর বক্তব্য, “তাঁদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। পৃথিবীটা এখন খুবই ছোট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের সময় তেমনটা ছিল না। আমরা আমাদের মতো সময় নিয়ে ভাবতাম কীভাবে গোটা বিশ্ব চলছে। আজকালকার বাচ্চাদের তো নিজস্ব মতামত তৈরি হওয়াটা অনেকটাই সহজ।”
জনপ্রিয় প্রবীণ এই প্রযোজক আপাতত ‘ময়দান’ ছবির মুক্তির জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এ কথা স্বীকার করতে তাঁর আপত্তি নেই যে, সব সময় তিনি সন্তানদের সম্পর্ক মেনে নেননি। কারও নাম না নিয়ে তিনি বলেন যে, “তাঁদের মাথায় কিছু ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন কখনওই হয়নি। তবে বলে রাখা ভাল যে, কিছু পরিস্থিতিতে আমি অর্জুন, জাহ্নবী এবং খুশির সম্পর্ক নিয়ে বেশ বিরক্ত হয়েছি। কিন্তু ওদের সম্পর্কের সমস্যা ওদের নিজেদেরই মেটাতে বলেছি। বিষয়টি সব সময় এরকমই ছিল।”
প্রসঙ্গত প্রথম স্ত্রী মোনা শৌরি কাপুরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং এর পরপরই সিনে দুনিয়ার কিংবদন্তি অভিনেত্রী শ্রীদেবী কাপুরের সঙ্গে বিবাহের কারণে বনি কাপুরের সঙ্গে তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তান অর্জুন এবং অংশুলার দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তবে শ্রীদেবীর মৃত্যুর পরে সম্পর্কের সেই টানাপড়েন দূর হয়। আর সকলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যায়। আজ অর্জুন, অনশুলা, জাহ্নবী এবং খুশির সম্পর্ক অটুট।
এই প্রসঙ্গে বনির বক্তব্য, “এটা শুধু ভাল বিষয় নয়, এটা চূড়ান্তও বটে। আমরা একসঙ্গে ছুটি কাটাতে যাই। এই তো অংশুলার জন্মদিন পালন করতে আমরা সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলাম। কিছু সময় আগে জাহ্নবী, খুশি এবং অংশুলার সঙ্গে লন্ডনে গিয়েছিলাম। সেখানে অর্জুনও এসেছিল ২-৩ দিনের জন্য। ওদের একসঙ্গে দেখে সত্যিই খুব ভাল লাগে। আর একসঙ্গে ওরা যখন আমার চারপাশে থাকে, মনে হয় গোটা পৃথিবীটাই যেন আমার সঙ্গে রয়েছে।”