TRENDING:

Exclusive| সুশান্তের মৃত্যু থেকে 'দিল বেচারা'র সাফল্য, আলোচনায় মুকেশ ছাবড়া

Last Updated:

ওঁ খুব হুল্লোড় করতে ভালবাসতো। সব সময় হাসতো। প্রচুর স্বপ্ন দেখত। সেই স্বপ্নগুলো পূরণ করার চেষ্টাও করত। বই, তারা, আকাশ, পদার্থ বিজ্ঞান, সুশান্তের পরিধি বিশাল ছিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
যত দিন যাচ্ছে ততই জটিল হয়ে চলেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য। এক দিকে নেপটিজম ঝড়, বলি তারকাদের শিবির ভাগ। অন্য দিকে রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তের বাবার অভিযোগ দায়ের। মুম্বাইয়ে তদন্তে বিহার পুলিশের প্রতিনিধি দল। এই সব কিছুর মধ্যে রেকর্ড কায়েম করে যাচ্ছে অভিনতার মুক্তি প্রাপ্ত শেষ ছবি, ‘দিল বেচারা’। নিউজ 18 বাংলার সঙ্গে কথা বললেন ছবির পরিচালক মুকেশ ছাবরা। সুশান্তের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি, এমনটাই জানালেন মুকেশ।
advertisement

প্রঃ ছবির সাফল্যের জন্য প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাব। ‘দিল বেচারা’ বানানোর সময় বুঝেছিলেন, এই ছবি এত সফল হবে। ইতিহাস গড়বে?

একেবারেই ভাবিনি। ছবি বানানোর সময়ে তার ব্যবসার কথা কেউ ভাবে না। বিশেষ করে প্রথম ছবির ক্ষেত্রে একেবারেই নয়। সাধারণ মানুষের ভালবাসা নিশ্চয়ই রয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয়, এই সবকিছু সুশান্তের আশীর্বাদে হচ্ছে। ‘দিল বেচারা’ সকলে সুশান্তের জন্য দেখছেন, এটাই সত্যি।

advertisement

প্রঃ কিন্তু ভাগ্যের এমনই পরিহাস প্রথম ছবির সাফল্য উদযাপন করতে পারছেন না আপনি!

আমি বুঝতে পারছি না, আমার কেমন অভিব্যক্তি হওয়া উচিত। নিজের মধ্যে কেমন যেন গুমড়ে রয়েছি। নায়ক ছাড়া ছবির সাফল্য সেলিব্রেট করা, কখনও সম্ভব? সুশান্তের চলে যাওয়ার বিনিময়ে কখনওই ‘দিল বেচারা’-র সাফল্য চাইনি।

প্রঃ আচ্ছা আপনি সুশান্তকে বহু বছর ধরে চেনেন। ‘কাই পো চে’-র জন্য ওঁর অডিশন আপনি নিয়েছিলেন !

advertisement

হ্যাঁ। সঞ্জনার ক্ষেত্রেও তাই।‘রক স্টার’-এর জন্য ওঁর অডিশনও আমি নিয়েছিলাম। সঞ্জনার, তখন মাত্র ১৩ বছর বয়েস। নার্গিসের বোনের চরিত্রের জন্য ইমতিয়াজ একটা নতুন মুখ খুঁজছিল, ওঁর কথা আমিই বলি।

প্রঃ সুশান্তের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা মনে আছে আপনার?

স্পষ্ট মনে আছে। সুশান্তের মধ্যে অদ্ভুত একটা চার্ম রয়েছে। খুব কম অভিনেতার তা আছে। প্রথম দিনই বুঝেছিলাম ওঁ লম্বা রেসের ঘোড়া। ‘কাই পো চে’-এর জন্য আবার অডিশন নিই। রাজকুমার, অমিত, সুশান্ত তিনজনই খুব ভাল। ওঁ মেথড ও সাবলীলতার মিশেল। তবে সুশান্তের মধ্যে মুগ্ধ করার একটা ক্ষমতা আছে। সরি, ছিল। (কণ্ঠে শোক স্পষ্ট)

advertisement

প্রঃ পেশাদারি সম্পর্ক থেকে বন্ধু কীভাবে হলেন?

‘কাই পো চে’-র পর দেখা হতে থাকে। সুযোগ পেলেই আমার অফিসে আড্ডা দিতে চলে আসতো। ‘পিকে’-র জন্য ওঁর আবার অডিশন নিলাম। খাবার, ছবি নানা ধরনের বিষয় নিয়ে আড্ডা হত। আর ওই যে বললাম, সুশান্তের মধ্যে মুগ্ধ করার একটা ক্ষমতা ছিল।

প্রঃ ‘দিল বেচারা’-র কথা শুনি একটু। ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’-এর রিমেক করবেন, কবে ঠিক করলেন ? সুশান্তই বা এই ছবি সঙ্গে যুক্ত হলেন কী ভাবে?

advertisement

ছবি করার ইচ্ছে আামার বহু দিনের। সুশান্তের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বেশ কয়েকবার। ওঁ বলতো, ‘যেদিনই তুমি ছবি বানাবে আমাকে অবশ্যই জানিও। আমি তোমার ছবিতে অভিনয় করবো।’ ২০১৮-এ যখন গল্প চূড়ান্ত করলাম, সুশান্তকে সে কথা বললাম। ওঁ চিত্রনাট্য না শুনেই রাজি হয়ে গেল।

প্রঃ এই ছবির জন্য সঞ্জনাও আপনার প্রথম পছন্দ ছিল?

‘রক স্টার’-এর পর অনেক দিন ওঁকে দেখিনি। বহু বছর পর একবার দেখা হয়েছিল, সঞ্জনা তখন কলেজ পড়ুয়া। এই ছবির কাস্টিং-এর সময় ওঁর মুখটা মনে পড়ল। পরে ওয়ার্কশপ করেছি আমরা। সাঞ্জনাই প্রথম পছন্দ বলা চলে।

প্রঃ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বাংলার দুই অভিনেতা তো দারুণ !

দু’জনেই অনবদ্য অভিনেতা। আমি বহু বছর ধরে কাস্টিং করছি। আমরা চেষ্টা করি, যতটা সম্ভব বিশ্বাস যোগ্য কাস্টিং করতে। ছবির নায়িকা বাঙালি, তাঁর বাবা-মা যদি পঞ্জাবি উচ্চারণে বাংলা বলে, কেমন লাগবে? শাশ্বত-স্বস্তিকার চেয়ে ভাল অভিনেতা কলকাতায় কে আছে বলুন?

প্রঃ আপনি আগে ওঁদের কাজ দেখেছন? 

স্বস্তিকার কয়েকটা বাংলা ছবি দেখেছি। ‘ডিটেকটিভ ব্যোমক্যেশ বক্সী’দেখেছি। শাশ্বত-র ‘কাহানি’ দেখেছি। আমার মনে হয়েছিল, বব বিশ্বাস খুব ভাল একজন, নরম মনের বাবা হতে পারবে। আর কাস্টিং-এ ফ্রেশনেস থাকলে কাজটা অনেকখানি সোজা হয়ে যায়।

প্রঃ সুশান্ত মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন?

ওঁ খুব হুল্লোড় করতে ভালবাসতো। সব সময় হাসতো। প্রচুর স্বপ্ন দেখত। সেই স্বপ্নগুলো পূরণ করার চেষ্টাও করত। বই, তারা, আকাশ, পদার্থ বিজ্ঞান, সুশান্তের পরিধি বিশাল ছিল। আর সবচেয়ে ভাল ব্যাপার এই সবকিছুতেই ওঁ সমান ভাল ছিল। করার জন্য কিছুই করত না। সুশান্ত এত রকম বিষয় নিয়ে কথা বলত, ওঁর সঙ্গে থাকলে কেউ কখনও বোর হত না।

প্রঃ এটা ভীষণ অদ্ভুত না, মৃত্যুর পর সুশান্তের ‘দিল বেচারা’-ই মুক্তি পাওয়ার ছিল! এ যেন কেমন আগে থেকে ঠিক করা।

এটা সত্যিই দুঃখের। কিন্তু ভেবে দেখুন ‘কাই পো চে’, ‘কেদারনাথ’, ‘সোনচিড়িয়া’-সব ক’টি ছবিতেই সুশান্ত মারা যায়। ‘দিল বেচারা’-র বিষয়টা একেবারেই কাকতালীয়।

প্রঃ কখনও আপনার মনে হয়েছে, সুশান্ত অবসাদে ভুগছেন?

বিশ্বাস করুন আমি কখনও বুঝতে পারিনি। সুশান্তকে দেখে কোনও দিন মনে হয়নি, ওঁর মনে কোনও আঘাত রয়েছে। বরং উল্টোটাই, সুশান্ত প্রচন্ড হাসি-খুশি ছিল।

প্রঃ আপনার প্রিয় বন্ধু চলে গেলেন, বিষয়টা মেনে নিতে অসুবিধে হচ্ছে?

সুশান্তের অসময়ে চলে যাওয়াটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। ২৭ মে আমার জন্মদিনে সুশান্তের সঙ্গে দেখা হল। এতক্ষণ একসঙ্গে থাকলাম, তাও কিছু বুঝতে পারলাম না। তার পরেও ফোনে কথা হয়েছে। ওঁ কেন কিছু বললো না, এই প্রশ্নই তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

প্রঃ গোটা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। সকলে সুশান্তের মৃত্যুর বিচার চায়, এটা কেমন লাগে?

সাধারণ মানুষের সুশান্তের প্রতি এত ভালবাসা। ওঁ ভাল মানুষ তাই সকলের ভালবাসা পাচ্ছে।

প্রঃ সুশান্তের চলে যাওয়ার পর, ওঁর ছবি মানুষ এত দেখছেন। আগে কেন মানুষ এগিয়ে আসেননি। আক্ষেপ হয়?

সুশান্তের মৃত্যু শোক কাটিয়ে উঠতে পারিনি। যুক্তি দিয়ে ভাবার মতো জায়গায় নেই আমি। হয়তো কিছু দিন পর, মনে এসব প্রশ্ন উঠবে। এখন শুধু ভাবি, চলে যাওয়া ছাড়া আর কী কোনও পথ ছিল না?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

ARUNIMA DEY

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
বিনোদন জগতের লেটেস্ট সব খবর ( Entertainment News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ বলিউড, টলিউড থেকে হলিউড সব খবরই পাবেন এখানে ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন ন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Exclusive| সুশান্তের মৃত্যু থেকে 'দিল বেচারা'র সাফল্য, আলোচনায় মুকেশ ছাবড়া
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল