২০০৪ সালে করণ জোহরের জনপ্রিয় শো ‘কফি উইথ করণ’-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই। আর সেই শোয়ে রাইসুন্দরীর হলিউড যাত্রা নিয়ে বলিউড অভিনেতাদের মন্তব্যের মন্তাজ চালিয়ে ছিলেন করণ। এই ভিডিওটি এখনও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। ঐশ্বর্য হলিউডে কতটা সফল হবেন, এই প্রশ্নের জবাবে অমিতাভ বচ্চন বলেন যে, “ঐশ্বর্য একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করবেন। কিন্তু তারপর একটা কাচের সিলিং চলে আসবে।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ বড় খবর! শিয়ালদহ থেকে চালু হচ্ছে নতুন ছটি ট্রেন! রইল তালিকা
ওই একই প্রশ্নের জবাবে অমিতাভ-পুত্র অভিষেক মন্তব্য করেছিলেন যে, “হ্যাঁ, উনি অত্যন্ত প্রতিভাময়ী। একজন দুর্ধর্ষ পেশাদার এবং খুবই ভাল মানুষ ও সহকর্মী।” যদিও সেই সময় কিন্তু অভিষেকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি ঐশ্বর্য। আবার অভিনেতা জায়েদ খান বলেছিলেন, “আমার মনে হয়, ঐশ্বর্যর একটা সর্বজনীন আবেদন রয়েছে।” একতা কাপুর জানিয়েছিলেন যে, “আমি ঠিক জানি না যে, উনি পারবেন কি না। কিন্তু আমি আশা করি যে, তিনি পারবেন। কারণ আমার একজন ফ্লাঙ্কি হিসেবে ওঁর সঙ্গেই আমার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল। সেই কারণে আমি ওঁর জন্য প্রার্থনা করি।”
অভিনেত্রী শাবানা আজমি বলেছিলেন যে, “আমার মনে হয়, সেখানে যা যা প্রয়োজন, ওঁর মধ্যে তার সব কিছুই রয়েছে। কিন্তু ও কি ওখানে যেতে চায় না কি, এখানে থাকাটাকেই বেশি নিরাপদ বলে মনে করবে, সেটা অবশ্য সম্পূর্ণ ওর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে আমার মনে হয়, যা যা প্রয়োজন, ওর মধ্যে তার সবটাই রয়েছে।” অন্যদিকে আর এক প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন মন্তব্য করেছিলেন যে, “ঐশ্বর্যকে এমন একজন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, যিনি বলিউডকে হলিউডে নিয়ে যাবেন। আর সেই কারণেই আমি চাই যে, এটা ঘটুক।”
অভিনেত্রী বিপাশা বসু বলেছিলেন যে, “আমার মনে হয়, ঐশ্বর্য ইতিমধ্যেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এটা দারুণ। কারণ বলিউডের এত প্রতিভাবান অভিনেতাদের কেউই এখনও এটি করতে পারেননি।” যদিও ঐশ্বর্যর প্রতিভা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। তিনি বলেছিলেন যে, “আমি আশা করি যে, উনি করবেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, উনি পারবেন।” একই সুর শোনা গিয়েছিল সানি দেওলের বক্তব্যেও। তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি ঠিক জানি না।”
হলিউড ডেবিউয়ের পরে ঐশ্বর্য রাই ‘দ্য মিসট্রেস অফ স্পাইসেস’, ‘প্রোভোকড’ এবং ‘দ্য পিঙ্ক প্যান্থার ২’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে অভিনেত্রীর হলিউডে অভিনয়ের যাত্রাপথ অবশ্য খুব একটা বেশি স্থায়ী হয়নি। তবে কানের রেড কার্পেটে বারবার নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। ফলে এখনও গ্লোবাল আইকন রূপেই গণ্য করা হয় তাঁকে। প্রত্যেক বছর কানে ঐশ্বর্যকে দুর্ধর্ষ লুকে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন ভক্তরাও।